স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?

0
1310
স্বামী স্ত্রী রক্তের গ্রুপ মিল
স্বামী স্ত্রী রক্তের গ্রুপ মিল

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার সর্ব প্রথম আবিষ্কার করেন রক্তের বিভিন্ন গ্রুপের নাম গুলোর অস্তিত্ব।রক্তে ‘এ, বি, এবি, ও’ এই গ্রুপ গুলো নির্ণয়কারক প্রথম ব্যাক্তি তিনিই।বলা হয়ে তাকে রক্তের গ্রুপ আবিকষ্কার করা না গেলে বহু মনুষকে অকালে মারা যেতে হত।রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের মাধ্যমে সহজেই জরুরী ভাবে রোগীকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে।

আমাদের অনেকের মধ্যে ধারনা আছে যে, যদি স্বামী-স্ত্রী’র রক্তের গ্রুপ মিলে যায় তাহলে নানা রকম সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অনেকেই মনে করেন এতে সন্তান গর্ব নাও হতে পারে।আবার অনেকেই মনে করেন স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ মিল হলে সন্তান সুস্ত হয়ে জন্মায়না।কিন্তু চিকিৎসকদের মতে এসব ধারনা সম্পূর্ণ ভূল।চিকিৎসক গণ কখনোই এসব ভ্রান্ত ধারনা বিশ্বাস না করতে বলে থাকেন।স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?

সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষের রক্তের গ্রুপ ‘বি’। এশিয়া মহাদেশে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষের রক্তের গ্রুপ ‘বি’।এই পরিসংখ্যানে দেখ্ য্য় এশিয়া মহাদেশের সিংহভাগ মানুসের রক্তের গ্রুপ ‘বি’। তাহলে নারী ও পুরুষের রক্তের গ্রুপ মিল হওয়াটাও স্বাভাবিক।এতে কোন প্রকার সম্যা হবেনা।

সমস্যা হয় যদি স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় ও স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হয়।এই সমস্যাকে  Rh Isoimmunization বলা হয়।স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?পজিটিভ স্বামী ও নেগেটিভ স্ত্রীর প্রথম সন্তান যদি নেগেটিভ হয় তাহলে কোন সমস্যা হয়না।যদি প্রথম সন্তান এর রক্ত পজিটিভ হয় তাহলে বিপত্তি।

blood
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?
স্বামী স্ত্রীর রক্তে মিল হলে কি হবে।

https://sonalikantha.com/আপনার-যৌন-ক্ষমতা-কেমন-বলব/

সন্তান জন্মের সময় বাচ্ছার পজিটিভ রক্ত মায়ের নেগেটিভ রক্তের সাথে মিশে যায়। এই মিশ্রন গরভাবস্থায় ০.১% শতাংশ হয়ে থাকে।মায়ের রক্তের সাথে বাচ্ছার রক্তের এই মিশ্রন ‍ANTI-BODY তৈরী হয় যা মায়ের পরবর্তি গর্ভধারন ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে।এতে মায়ের দ্বীতিয় বাচ্ছাটিকে নষ্ট করে দেয়।আর এই জন্য প্রথম পজিটিভ সন্তান জন্মের ৭২ ঘন্টার মধ্যে Rh Anti-D antibody নামক প্রতিরেোধক টিকা মাকে ‍দিতে হবে।এই প্রতিরোধক টিকাটি মায়ের শরীরে বিদ্যমান রক্তকনিকাটি ধ্বংস করে দেয়।

পজিটিভ রক্ত কণিকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করার মা’কে এন্টি বডি প্রতিরোধক ইনজেকশনটি না দেওয়া হলে পরবর্তি সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় জন্ডিস রোগ নিয়ে জন্মগ্রহন করতে পারে এবং মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যা্ওয়র সম্ভাবনাও রয়েছে।এছাড়াও জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় সন্তান রক্ত শূণ্যতায় ভূগতে পারে।এবং মারাও যেতে পারে।

আবার অনেকেই ধারনা পোষণ করে থাকেন যে স্বামী-স্ত্রী’র রক্তের গ্রুপ এক হলে সন্তানের জন্ম গ্রহনের পর থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়।এটা সম্পূর্ণ ভূল ধারনা। কারন থ্যালাসেমিয়া রোগ ক্রোমজোম এবনরমালিটি থেকে হয়।স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ  মিল হলে কি সমস্যা হয়?