ড. মাহফুজুর রহমানের ১০টি লজ্জার ঘটনা। বেসরকারী টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান এখন ভিন্ন কারনে আলোচিত।তার নতুন নতুন গান আবিষ্কার ও গাওয়ার কারনে তিনি ট্রলড হচ্ছেন। মাহফুজুর রহমানকে ট্রল করে কেউ তার কাল্পনিক ১০ টি লজ্জার ঘটনা লিখে প্রকাশ করেন।এগুলো এখন ভাইরাল।
সোনালী কন্ঠের পাঠোকদের জন্য তুলে ধরা হলো;
১)ক্লাস ফাইভে পড়ি ,পাশের বাড়ির আমার বয়সী এক ছেলের সাথে ওর বিদেশী লোগো সেট নিয়ে খেলা করি।একদিন ওর সেটের পার্টস খুজে পাচ্ছি্লামনা।আমি ওর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওর মা আমার শার্ট প্যান্টের পকেট চেক করলো।
২)আমার এক কাজিন এ্কটা দুর্দান্ত আই,বি,এম পিসি কিনলো। মানে ওর বাবা কিনে দিয়েছিলো।উনি তখন ইন্টারে পড়তেন।সবাইকে দাওয়াত করে এনে কম্পিউটার দেখাচ্ছে।আমি ঐ পিসির মাউস টা একটু নাড়ানোর অপরাধে কষে থাপ্পড় খেলাম।
৩)কুরবানী ঈদের পরের দিন আমি বাড়িওয়ালার বাসায় দেখা করতে যাই।উনারা কথা বারতা বললেন।আমি টেবিলে বসে আছি।পরিচারিকা পলাও মাংশ ,কাবাব নিয়ে এলো।আমি হাত ধূতে বাথ্রুমে গেলাম।এসে দেখি কিছুই নেই। সে তাদের আত্মীয়কে খাবার দেবার পরিবর্তে ভূল করে আমাকে দিয়েছে।পরে সেমাই খেয়ে চলে এলা্ম।
৪)পাড়ার সবাই একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি।এক ভাইয়ার বাবা গাড়ি কিনেছেন সেই সেলিব্রেশন।আসার সময় দামি মাইক্রোবাস এ সবার যায়গা হলো।আমার হলোনা।এক বড় ভাঈ বলল ,তুমি একটা রিক্সা করে চলে আসো।আমি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম।এক্টা মেয়ে ফিক করে হেসে ফেলল।
৫)আমার ক্যালকুলেটোর নষ্ট ,বন্ধুকে বললাম এক্সাম চলছে কলেজে,দুই তিন দিনের জন্ন ক্যাল্কুলেটর টা ধার দে।ও দিলো না।হেসে হেসে বল্লো,এইটা হারায়া ফেললে তোর আ্ববাও এইটা কিনে দিতে পারবেনা।
৬)স্কুল লাইফে একটা মেয়েকে অনেক পছন্দ করতাম।তাকে বলার সাহস কখনো হয়্নি।একদিন সাহস করে অর বার্থডে তে এ্কটা গোলাফ দিয়ে ওকে বললাম।হ্যাপি বাথডে।ও গোলাফটা ছুড়ে ফেলে আমাকে বলল,যেমন ফকিন্নি মারকা চেহারা তেমন ফকিন্নি ছাত্র।এত সাহস কেন তোমার।পাশে ওর অনেক বান্ধবী ছিলো।সবাই হো হো করে হেসে ফেলল।ড. মাহফুজুর রহমানের ১০টি লজ্জার ঘটনা।
৭)ক্রিকেট ম্যাচ হবে পাশের পাড়ার সাথে। আমি খুব ই এক্সাইটেড।আগের দিন ব্যাট মুছে রেডি করলাম।সকালে আমার মা আমাকে আদর করে দোয়া পড়ে দিলেন।মাঠে গিয়ে দেখি আমাদের টিমে ১৪ জন।আমি অপেনিং বল করব।হালকা প্র্যাক্টিস করছি।ক্যাপ্টেন বড় ভাই ১১ জন সিলেক্ট করে ২ জন এক্সট্রা রাখলেন।আমি রিক্সা করে মাথা নিচু করে বাড়ি ফিরে আসলাম.১৪ তম লো্কটি আমি ছিলাম।
আরও পড়ুনঃ বসবাসের উপযুক্ত বিশ্বের সেরা ১০ টি শহর। https://sonalikantha.com/বসবাসের-উপযুক্ত-বিশ্বের/
৮।)ক্লাস নাইনে অংকে পেলাম ৩৯।ক্লাস টেনে রোল নাম্বার পিছিয়ে ৬০।আমার আত্মীয়রা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন।একবার আমার মামার বাসায় বেড়াতে গেলাম।ক্লাস থ্রী তে পড়া মামাতো বোন আমার কাছে এটা অংক নিয়ে এলো।সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলাম।আমার মামি বলল,যাও সুমনের কাছে বুঝ,।অংক বুঝে নাকি ও?যথারীতি সবাই হেসে ফেলল।
৯) ড. মাহফুজুর রহমানের ১০টি লজ্জার ঘটনা। ছোট বেলায় খুব রোগা ছিলাম।দেখতেও ভালো ছিলাম না।একসাথে পাড়ার সবাই যখন খেলতাম।কোন সুন্দর মেয়ে আশপাশে হেটে গেলে আমাকে আবুল বলে ডা্কত।
১০) কলেজ লাইফে একটা অনুষ্ঠাণে আ্মার উপস্থাপনা করার কথা।কিন্তু উপস্থাপিকা আমার সাথে উপস্থাপনা করতে চায়নি।আমি নাকি স্মাট নয়।আমাকে অনুষ্ঠানের দর্ষক সারীতে বসতে হলো।ছা্ত্র ছাত্রীদের হাসি দেখে চলে আসলাম।