
এক ইলিশের দাম শুনে চোখ কপালে! আড়াই কেজি ওজনের এ্কটি ইলিশের দাম নিয়ে রিতিমত এলাহি কান্ড।এক ইলিশের দাম শুনে চোখ কপালে!
পটুয়াখালীতে একটি ইলিশের দাম হাকানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী শহরে নতুন বাজার এলাকার মাছ বাজারে এ ইলিশটি উঠে।
আড়াই কেজি ওজনের এ ইলিশটির প্রতি কেজি দাম হাকানো হয়েছে চার াজার টাকা।এতে এ ইলিশটির দাড়িয়েছে ১০ হাজার টাকা ।
তবে আজ শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত এ ইলিশটি বিক্রি হয়নি বলে বিক্রেতা জানিয়েছেন।পটুয়াখালীর মাছের বাজারে এর চেয়ে বড় ইলিশ উঠেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মত্স ব্যাবসায়ীরা।
এদিকে বিশাল বড় এই ইলিশ মাছটি দেখার জন্য উত্সুক ক্রেতারা বাজারে ভীড় জমায়।মাছটির কেজি প্রতি চার হাজার টাকা হওয়ায় ক্রেতারা কেটে পড়েণ।এক ইলিশের দাম শুনে চোখ কপালে!মাছটি অবিক্রিত রয়ে গেছে।কেনার কথা পরে। এক ইলিশের দাম শুনে চোখ কপালে!
আরও পড়ুনঃ চার লক্ষাধিক গরুর গনভোজে আলোড়ন। https://www.sonalikantha.com/চার-লক্ষাধিক-মানুষের-গণভ
ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে ২০১৭ সালে প্রায় তিন লক্ষ মেট্টিক টন ইলিশ জেলেদের ঝালে ধরা পড়েছিলো।সর্বশেষ মেীসুমে তা পাঁচ লক্ষ টন ইলিশ ধরা পড়েছেে।এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির আয় বাড়াবে ইলিশ ।
২০০৭ সালে যেখানে ইলিশ ইলিশরে পরিমাণ ছিলো ৯০ হাজার মেট্টিক টন সেই হিসেবে বর্তমানে ইলিশ আটকের পরিমাণ অনেক বেশি।
এত ইলিশ কিভাবে উৎপাদন হচ্ছে?
জেলেদের ভাষ্যমতে বছরে প্রায় ৪ মাসের মত ইলিশ ধরা সরকার কতৃক নিষিদ্ধ করার কারনে ইলিশ উৎপাদন এখন অনেক বেশি।
নদীতে আগে যেমন ইলিশের প্রজনন মেীসুমে ঝাল ফেলে ঝাটকা ধরা হতো, এখন সেই বিষয়ে সরকার ও প্রশাসন আগের তুলনায় অনেক কঠোর।
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ।ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারকে সহযোগীতা করা উচিত জেলেদের।
বর্তমানে জেলেদের সরকারে পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।মৎস্য কর্মকর্তারা জানান অতিরিক্ত ইলিশ উৎপাদনের কারন হচ্ছে, জেলেদের জন্য অবসর কালীন সময়ে ভাতার ব্যবস্থা করার কারনে নদীতে ঝাটকা নিধন কম হচ্ছে ।ইলিশের প্রজনন মৌসুমে জেলেদের জীবিকার ব্যবস্থা করার কারনে জেলেরা এখন ঝাটকা ধরা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।তাই ইলিশের উৎপাদন ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।বলা হচ্ছে ঝাটকা নিধনের এই হার শূন্যের কোঠায় নিযে আসতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।