
সাপে কামড়ালে করনীয়! সাপে কামড়ালে অনেকেই মনে করে উদ্ভট কিছু কাজ করলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।কিন্তু রক্ষার বিপরীতে ক্ষতি বেশি হবে।কিন্তু কিছু তথ্য জানলেই পার পেতে পারি সাপের কামড়ের বিষ থেকে।সাপের কামড়ে ভয় না পাওয়া যেমন জরুরী ,তেমনি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
সর্প দংশন বাংলাদেশের মারাত্মক সমস্যার মধ্যেে একটি।কারন প্রতি বছর বহু লোক সাপের দংশনে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।সাপের কামড়ের চিকিৎসা দেশের সর্বত্র অঞ্চলে ব্যবস্থা না হওয়ায় আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা যায়না।ফলে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সাপে দংশনের চিকিৎসা এখনও শহর কেন্দ্রীক হওয়ায় গ্রামের অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যাক্তি মৃত্যুবরণ করে।
- ভারতের কিং জজ মেডিকেল এর টেক্সিলোজি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক জানান,”যে কোনো বিষধর সাপই মানুষকে কামড়ানোর সময় খুব অল্প পরিমাণে বিষ ছাড়ে।ফলে,সাপে কামরালে কখোনই ভয় পাওয়া ঠিক নয়।”
সাপে কামড়ালে যে ৫ টি কাজ কখোনোই করবেননাঃ
১) যেখানে সাপে কামড়েছে বা তার আশ-পাশে চিড়ে বা কেটে দিবেননা।এমন করলে রক্তে আরও দ্রুত গতিতে সাপের বিষ ছড়িয়ে পড়ে।যার প্রভাব পড়ে মস্তিস্কেও।এর ফলে মৃত্যূও হতে পারে।
২) যাকে সাপে কামড়েছে,তাকে কখনোই কাত করে শোয়াবেননা।সব সময় সোজা করে শোয়ান।ঠিক যেভাবে স্ট্রেচারের উপরে শোয়ানো হয়।
৩) সাপ যে জায়গায় কামড়েছে,তার আশপাশে বা উপরে কোনও কাপড় বাধবেননা।এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে শিরা এবং ধমণি ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
৪) সাপে কামড়ানোর পর ব্যাথার ঔষধ কখনোই আক্রান্তকে খাওয়াবেননা।এর ফলে আক্রান্তের শরীরের আসল অবস্থা বোঝা কঠিন হবে।আক্রান্তের যন্ত্রণা বেড়েও যেতে পারে।
৫) সাপে কামড়ানো রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আপনার যৌন ক্ষমতা জানুন ব্লাড গ্রুপ থেকে। <> https://sonalikantha.com/আপনার-যৌন-ক্ষমতা-কেমন-বলব/
৫) শরীরের যে অংশ সাপ কামড়েছে ,সেই জায়গা বেশি নাড়াচাড়া করা যাবেনা।আক্রান্ত ব্যাক্তি যেনো হাটাচলা না করেন।এর ফলে মাংশপেশিতে টান পড়ে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
৬) সাপে কামড়ালে করনীয়! কো্নরকম কুসংস্কার থেকে বিরত থাকুন।সাপে কামড়ানো রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।ডাক্তারের প্রেস্ক্রি্পশন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিন।
কতটা গুরুতর এই সমস্যা!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর ৫০ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়।তবে সমীক্ষায় বলছে ৬০% ভাগের মত আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে বিষ প্রবেশ করে।
সাপের কামড়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লাখ আক্রান্ত ব্যক্তি অন্ধত্ব বা পঙ্গুত্ব বরণ করেন।এই সমস্যাটিকে গ্রীষ্মকালীন বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের সবচেয়ে উপেক্ষিত ব্যধি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সাব সাহারান আফ্রিকার ঘনবসতি অঞ্চলে সাপের আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অনুন্নত এলাকার দরিদ্র গ্রামবাসী সাধারণত সাপের আক্রমণের শিকার হন।পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার ফলে সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা।