×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-১৫
  • ৮৩ বার পঠিত
মাসুদুর রহমান,কিশোরগঞ্জ:
 ২০২০সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক আইন পাস হয়ে ২০২৩সাল হতে কিশোেরগঞ্জে একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়।যদিও সরকার পতনের পর নাম নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ১২০ জন শিক্ষার্থী ও ৮ জন শিক্ষক তিনটি বিভাগ নিয়ে সীমিত পরিসরে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের দশ তলা একটি ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসাবে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির  ১ম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ।সরকার পতনের পর নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিষ্ট স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক  ড.দিলীপ কুমার বড়ুয়া।শুরু থেকেই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত ও ইংরেজি বিভাগ চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। আরো প্রায় বিভিন্ন অনুষদে প্রস্তাবিত ৫০ টি বিষয় চালুর প্রস্তাব রয়েছে।

কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থাপনা নির্মাণের জন্য ১০৩ দশমিক ৭৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে এর উন্নয়ন, সীমানা-দেয়াল ও মূল গেট নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগ।
 
প্রকল্প  এলাকা হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর 

উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা ও রঘুনন্দনপুর মৌজায় ১০৩.৮৭একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে।গত ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর একনেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছিলো।পরিকল্পনা কমিশন সূত্র তখন জানিয়েছিলো, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শতভাগ ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট মেয়াদে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ।প্রকল্পটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তও ছিলো। এ ছাড়া মাউশি বিভাগ থেকে প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণে ডিপিপিতে এমটিবিএফ প্রত্যয়ন সংযুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসে এর কিছুই পাওয়া যায়নি।প্রকল্প এলাকায় বিল,ফিসারী আর ধানী জমি ছাড়া কিছুই চোখে পড়েনি।বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে ঘুরে এসে শিকার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির স্হায়ী 

ক্যাম্পাস নির্মানের তাগিদ জানান এবং অত্র ক্যাম্পাস হতে অন্যত্র স্হানান্তরের দাবি জানান।কারন হিসাবে বলেন একটি সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ক্যাম্পাসের সাথে একটি স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চলা বড় বেমানান।এছাড়া এটা আত্নসম্মানের বিষয়ও।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ক্যাম্পাস হতে দুরে হয়বতনগর নামক স্হানে ভাড়া বাড়িতে থাকছেন।ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের থাকার মতো আবাসন ব্যাবস্হা না থাকার কারনে প্রক্টরিয়াল বডিও সার্বক্ষনিক ক্যাম্পাসে অবস্হান করতে পারেন না।তবে ক্যাম্পাসে একটি অস্হায়ী আনসার ক্যাম্প আছে।গুরুদয়াল কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সহ ১৬ টি বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স মাস্টার্স চালু থাকার কারনে  প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে কলেজটিতে। কলেজের সবচেয়ে বড় ১০ তলা ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার ফলে কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সবহান সংকুলানে  অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। কলেজ প্রশাসনও চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্র স্হানান্তরিত হোক। একটি ক্যাম্পাসের২টি আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্হান নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।সরকার 

পরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয়টির স্হায়ী ক্যাম্পাসের স্হান নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শুনা যায় মাঝে মাঝে।তবে সবকিছু ছাপিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার মাঝে একটি জিনিস স্পষ্ট সকলেরই দাবি স্হায়ী ক্যাম্পাসের দৃশ্যমান অগ্রগতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat