×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-২৫
  • ৭৪ বার পঠিত
মো: মোবারক হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৫ ডিসেম্বর
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও ঠিকাদার মো. লাভলু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ডাকাতির বর্ণনা একই থাকলেও খোয়া যাওয়া অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন মন্তব্য জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানাগেছে।
বৈসম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পট পরিবর্তন হলে পরিবারসহ গাঁ ঢাকা দেয় জেলার প্রভাবশালী এই ঠিকাদার। ডুপ্লেক্স (দ্বিতল বিশিষ্ট বাড়ি) বাড়িটি দেখভাল এবং সম্পদ পাহারার জন্য শালী (স্ত্রীর বোন) রুমা বেগমকে দায়িত্বে রাখা হয়। টানা ১৭ দিন ধরে বাড়িটিতে একাই আছেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে রুমা বেগম এই প্রতিবেদককে দুপুর ২টার সময় বলেন, ভোর রাত চারটার দিকে ডাকাতদল বারান্দার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। আমি বাড়িতে একা ছিলাম আমার রুমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৬জন ঢুকে আমার হাত-পাঁ বেঁধে ফেলে। দুলাভাই (লাভলু মিয়া) এবং আমার বোনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। কোথায় স্বর্ণ অলঙ্কার রাখা আছে দেখাতে বলে এবং শারিরিকভাবে হেনস্থা করে। পরে তারা আলমারি, খাট এবং লকার ভেঙ্গে ১০ ভড়ি স্বর্ণ এবং নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
অপরদিকে লাভলুর স্ত্রী লাভলী আক্তার বলেন, আমরা পরিবারসহ ঢাকায় ছিলাম। সকালে আমার বোন বিষয়টা ফোনে জানালে আমরা এসে আলমারি এবং লকার ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পাই। এই ঘটনায় আমার বাড়িতে ঠিকাদারি কাজের গচ্ছিত রাখা ২০ লাখ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়েছে।
এর আগে সকালে গনমাধ্যমের কাছে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তার ছেলে জনি মিয়া এবং ছেলের বৌ ইসরাত জাহান তন্নী খোঁয়া যাওয়া সম্পদের বিবরণী জানিয়ে বলেন, ১০-১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির বিয়টি অভিযোগ হলে আমরা বলতে পারব। ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আমাদের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat