ভোরের সূর্য সরিষা ফুলের জমিতে পড়ার সাথে সাথে চকচক করছে হলুদ রং। প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সাজে। প্রজাপতির দল ছুটে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে। মৌমাছির ভনভনানিতে মুখরিত সরিষার বিস্তৃত মাঠ। সরিষার ভালো ফলনে কৃষকদের মুখেও সোনা রাঙা হাসি।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের ফসলের মাঠে-মাঠে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। এছাড়াও উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায় সহ সবকটি গ্রামে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিকাজানি ইউয়নের দীঘির পাড় এলাকায় কয়েকটি জমির চারদিকে হলুদ গাঁলিচা বিছিয়ে যেন অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়েছে পল্লীর প্রকৃতি। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে বাড়ছে প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনা। ‘ফাও’ ফসল হিসাবে খ্যাত এ ফসলের বাম্পার ফলনের হাতছানিতে খুশি কৃষকরা। অল্প সময়ে চাষ করে ভালো দাম পাওয়াতে কৃষকরা অধিক হারে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে।
জানা গেছে, একটি বোরো ফসল শেষ হবার পর আরেকটি ফসল তুলার আগে মাঝামাঝি সময়টাতে সরিষা চাষ করে কৃষকরা বাড়তি একটা সুবিধা পান। বাজারে বিক্রির আগেও সরিষা ফুল দিয়ে মুখরোচক ‘বড়া’ ও পাতা দিয়ে মজাদার শাক রান্না করা হয়। এছাড়া সরিষা তোলা শেষে সরিষা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হবার কারণে এসব বিক্রি করেও মিলে বাড়তি অর্থ। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয় সরিষা।
দীঘির পাড়ের সরিষা চাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘এসময়টিতে অন্য কোনো ফসল চাষ করা হয়না বলে এ ফসলটকে ‘ফাও’ ফসল হিসাবে বিবেচনা করি। ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের বাড়তি খরচ চলে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আলগীর আজাদ জানান, ‘সরিষা চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপসহকারী ব্লক কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এ বছর সরিষার ভালো ফলনের হাতছানি দিচ্ছে।’
এ জাতীয় আরো খবর..