×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১১
  • ৬০ বার পঠিত
মোঃ রাফসান জানি, ভোলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজীস আলম বলেন,গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই বাংলার মানুষ আর কোন স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। 

বাংলাদেশের মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে লড়াই করে বিদায় করেছে। 
সেজন্য সরকারকে ২৪’র অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী  খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগন।

 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খুনি হাসিনাসহ যাদের নির্দেশে এতো মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত জড়ানো হয়েছে, তাদের বিচারের শাস্তির স্পষ্ট কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি, তারা একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের ৭ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন। 
শুক্রবার সকালে দ্বীপ জেলা ভোলায়  জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে  লিফলেট বিতরণ ও পথসভায়  যোগে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘোষণা পত্রে সবার আগে ছাত্রদের  অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে বলে জানান। 
এসময় তিনি বলেন,এই ঘোষনা পত্রে প্রত্যাকটে জেলা ও উপজেলার শ্রমিক মেহনতী মানুষের আত্মত্যাগ এর কথা  উঠিয়ে আসতে হবে বলে জানান। এটি যেন কয়েকজনের কথা  না হয়। 
এসময় তিনি আরো বলেন,খুনী হাসিনা গোপালগঞ্জের সিন্ডেকেট বসিয়েছে। তার পরিবার প্রত্যাকটি জায়গায় সিন্ডেকেট  বসিয়ে জনগনের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
সেই গুলোকে শেষ করে সমতার একটি বাংলাদেশ দেখতে চায় বাংলার মানুষ। 
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার কে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ  ভাবে এই বাংলাদেশ থেকে খুনি শেখ হাসিনাকে বিতারিত করে  ভারতে পাঠিয়েছে। তাই যেই ব্যানেরকে সামনে রেখে  একটি বড় অভ্যাুথান হলো সেই ব্যানারের নাম সুস্পষ্ট ভাবে ঐ ঘোষণা পত্রে থাকে সেটি দাবি জানিয়েছে ভোলার ছাত্রআন্দোলন কারীরা।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, আওয়ামী খুনি ও তাদের দোসরদের বিচার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখসহ সাত দফা যৌক্তিক দাবি নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করেন। 
এর আগে তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে ভোলা বাংলা স্কুল মোড় সদর রোড, নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণা পত্র ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।এর আগে তিনি ভোলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিন এর পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সহানুভূতি জানান। এছাড়াও জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহ সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ,সমন্বয়ক এম এ সাঈদ,কেন্দ্রীয় সদস্য 
আরিফুর রহমান তুহিন,আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফয়সাল,জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ  ভোলার  শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat