প্রণয় দাশ গুপ্ত শিমুল
চট্টগ্রাম
সনাতনী পূজা-পার্বণে চট্টগ্রাম দেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূজার সময় হাজারো ভক্ত-দর্শনার্থী ভিড় জমায় এই অঞ্চলের পূজামণ্ডপগুলোতে। এখানে অবস্থিত কয়েকটি ঐতিহাসিক তীর্থস্থান যেমন সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির এবং বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা পাহাড়ের মেধসমুনির আশ্রম সনাতনীদের কাছে বিশেষ আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে।
এই আধ্যাত্মিক ধারার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বোয়ালখালীর আমুচিয়া ইউনিয়নের ধোরলা মুক্তি সংঘ সর্বজনীন দুর্গা মন্দির। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ এই সংগঠন ২০২৫ সালে পদার্পণ করেছে ঐতিহ্যের ৭১ বছরে। এ উপলক্ষে এবারের দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়েছে ছয় দিনব্যাপী।
সাধারণত পাঁচ দিনব্যাপী পূজা অনুষ্ঠিত হলেও এবার ৭১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাড়তি আয়োজন থাকছে। ষষ্ঠীর দিন ঢাকের তালে ধুনুচি নাচে মাতৃবরণ দিয়ে শুরু হবে উৎসব। পরবর্তী দিনগুলোতেও বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি থাকবে যা ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে।
প্রতি বছরই মুক্তি সংঘের দুর্গাপূজা দেখতে হাজারো দর্শনার্থীর ঢল নামে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক কমিটি। পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা থাকছে বলেও জানিয়েছেন আয়োজকরা। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পূজা কমিটি রেখেছে ফ্রি মিনারেল ওয়াটার, গাড়ি পার্কিং, এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা।
বোয়ালখালীতে এ বছর মোট ১৬৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ধোরলা মুক্তি সংঘের আয়োজন সবসময় ভিন্নতা নিয়ে আসে। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন এবারের পূজাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজা হিসেবে দাবি করে।
এ জাতীয় আরো খবর..