মোঃ রবিউল ইসলাম, রিপোর্টার ঃ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ডের খরতৈল গ্রামের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাই ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খরতৈল গ্রামের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলে নারী-পুরুষ, তরুণ-যুবকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অংশ নেন। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাহনাজ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারী শাওন ও সিয়ামকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহনাজ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে লিপ্ত হন। তার ছেলে শাওন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী; সিয়াম ও নিজ বাহিনী নিয়ে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস— এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করে না। শাওনের বিরুদ্ধে রয়েছে ডজনেরও বেশি মামলা।
সম্প্রতি এলাকায় মাদক ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকাবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিবাদ মিছিল শেষে আয়োজকরা দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও নিয়মিত অভিযান চালানোর আহ্বান জানান, যেন খরতৈলকে পুনরায় একটি নিরাপদ আবাসিক এলাকায় পরিণত করা যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ব্যক্তিত্ব শহীদুল্লাহ মাতাব্বর, ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাল হোসেন, টঙ্গী পশ্চিম থানা জিয়া পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও
টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. আশিক মিয়া, সাপড়া মসজিদের সেক্রেটারি সাদিক মিয়া, লোকমান হাজী, পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি সিরাজ উদ্দিন, টঙ্গী পশ্চিম থানা উলামা দলের সেক্রেটারি বাবুল মিয়া, সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপি
রিপন মিয়া, খরতৈল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের
সাধারন সম্পাদক মো: আবুল মিয়া, ৫১ নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি
ফরিদ শিকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, খরতৈলে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে থানায় জমা দেন। এতে প্রায় ৩০০ বাড়ির মালিক স্বাক্ষর করেন। পরে পুলিশ শাহনাজকে গ্রেপ্তার করলেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ২০ মামলার আসামি শাওন বর্তমানে জামিনে থেকে পুনরায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..