মোঃ নাজিম আহামেদ (রানা)
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) গাইবান্ধা জেলা ইউনিট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব আলম রিপন। এতে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হলো—
১. বিদ্যমান সার ডিলারদের ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে। একই পরিবারের বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী বা ভাই-ভাই পৃথক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকলে এবং সরকারের নির্ধারিত সকল কাগজপত্র দাখিল করতে পারলে সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তিতে তাদের ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে।
২. প্রতিটি ইউনিয়নে বর্তমান ৩ জনের পরিবর্তে ২ জন ডিলার রাখার বিধান করা যেতে পারে। অন্যথায় সার ব্যবসা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
৩. ডিলারদের প্রতিনিধির মাধ্যমে ডিলারশিপ পরিচালনার সুযোগ রাখতে হবে। প্রতি মাসে টাকা জমা ও সার উত্তোলনসহ কর্মসম্পাদন প্রতিবেদন যথাযথ থাকলে প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি দিতে হবে।
৪. ডিলারদের পরিবহন খরচ ও কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে। জ্বালানির দাম, ব্যাংকের সুদের হার, গুদাম ভাড়া, কর্মচারী ও আনুষঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রয় কমিশন অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব ব্যয় বিবেচনায় কমিশন ও পরিবহন খরচ সমন্বয় না করলে ‘সার ডিলার নিয়োগ সমন্বিত নীতিমালা-২০২৫’ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
৫. কৃষকদের জন্য ভর্তুকিমূল্যে সরবরাহ করা সারের ওপর অগ্রিম কর আরোপ করা যাবে না। এ ধরনের কর আরোপ করা হলে সারের বাজার অস্থিতিশীল হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যে বৃদ্ধি ঘটবে। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি সুদেব কুমার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ হক্কানি, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হাসান এমরান, সদস্য মোঃ রেজাউল করিমসহ অন্য সদস্যবৃন্দ।
এ জাতীয় আরো খবর..