ফেনী ব্যুরো ;
ফেনীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে এ সময় চালককে আটক করা হলেও মোটা অংকের লেনদেনের বিনিময়ে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রমতে, ৮ অক্টোবর ফেনী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর স্টার লাইন পাম্প এর সামনে অবস্থান করে এ সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস কে সংকেত দেয়, এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে এক ব্যক্তিকে নামিয়ে আনা হয় এবং গাড়িটি তল্লাশি করা হয়। পরবর্তীতে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় পেট্রোল পাম্পে গ্যাস নিতে আসা জয়নাল আবেদীন জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই ও কয়েকজন কনস্টেবল চালক'কে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটু দূরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাদের ও উপস্থিত গ্যাস নিতে আসা চালকদের কাছে এসে জানান, এ গাড়ীতে ইয়াবা পাওয়া গেছে, চালক পালিয়ে গেছে, আপনারা মামলায় স্বাক্ষী দিন। পরে আমি ও আরো কয়েকজন চালক সাক্ষী না হয়ে স্থান ত্যাগ করি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাম্পে গ্যাস নিতে আসা এক সিএনজি চালক জানায়, গাড়ীটি চট্র মোট্টো ট ১১ - ৪১১৬ সংকেত দিলে রাস্তার পাশে দাঁড়ায় এতে চালক'কে উপস্থিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি পরে তারা জানান চালক পালিয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক ইসতিয়াক হোসেন ও উপ সহকারি পরিদর্শক অজয় কুমার শীলের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। মাইক্রোবাসে থাকা ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাইক্রোবাসটি জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক ইসতিয়াক হোসেন ও সহকারি পরিদর্শক অজয় কুমারের সাথে কথা বললে দুইজন দুই রকম ঘটনার বিবরণ দেয়। অজয় কুমারের বক্তব্য মতে ঘটনার সময় মাইক্রোবাসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় কিন্তু ইশতিয়াক আহমেদের বক্তব্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্টার লাইন পাম্প নামক স্থানে অভিযানের সময় মাইক্রোবাসটিকে সিগন্যাল দেয়, চালক সিগন্যাল না মেনে পাম্প থেকে দূরে গিয়ে গাড়িটি থামিয়ে চালক পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি থেকে আলামত জব্দ করে, পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পরিদর্শক রাজু আহমেদ চৌধুরী বলেন, এটি ফেনী মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের জন্য চাঞ্চল্যকর বিষয়, ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংরক্ষণ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ পরিচালক বজলুর রহমান জানান, আমি ফেনী অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। ইয়াবা সহ মাইক্রোবাস আটক করেছে শুনেছি কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিনা জানি না।
এ জাতীয় আরো খবর..