স্বাধীনবাংলা,পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে ২০১৭ সালের দুই আগস্ট হত্যাকারে শিকার স্বামী,স্ত্রী ও পালিত কন্যা হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় । গত ১০ অক্টোবর ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ মইনুল হাসান জানান ২০১৭ সালের ২ আগস্ট গলাচিপা আমখোলা ইউনিয়নে এর ছৈলাবুনিয়া গ্রামের নির্জন ঘরে বিভৎস অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত দেলোয়ার মোল্লা (৬৫),তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৬৫) এবং পালিত কন্যা কাজলী আক্তার (১৫) কে বসত ঘরে অজ্ঞাত নামা হত্যাকারীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইদ্রিস মোল্লা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় দেলোয়ার মোল্লার বোন পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ১ থেকে ১৫ জন আসামি করে একটি গলাচিপা আদালতে একটি হত্যা মামলা দাযের করেন। আদালত মামলা টি সংযুক্ত করে পুলিশ কে তদন্ত করার জন্য আদেশ দেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত শুরুকরে।
আরোও পড়ুন: অপরাধীদের মধ্যে ভীতি থাকবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে _ওবায়দুল কাদের ***
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর ঢাকার পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবু রায়হানের কাছ থেকে নিহত কাজলী আক্তারের খোয়া যাওয়া নোকিয়া ১২৮০ মডেলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আবু রায়হান জানান তার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তার ফুপুর ননদের স্বামী শহীদ তাকে দেয়। উল্লেখ্য পূর্ব থেকেই পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিচার বিশ্লেষনে শহীদ প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার তদন্তকারী অফিসার গলাচিপা থানার ইন্সপেক্টর( তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সাভার থেকে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃমইনুল হাসান জানান, শহিদ তার নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীর নামের চলাফেরা করে একটি ভায়া বাসায় প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিল এবং অটো রিক্সা চালাতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদ হত্যার বিষয় স্বীকার করেছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম কে১২ অক্টোবর সোমবার আদালতে হাজির করা হবে। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড এর আবেদন করবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।