ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থান সেনুয়া নদী এবং এর পাশ্ববর্তী কবরস্থানের জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ , এই জমি গুলো ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সংস্কৃতি, পরিবেশ, এবং ধর্মীয় চর্চার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাবুল একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী গড়ে তুলে সরকারি নদী ও কবরস্থানের জমি নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাটি ভরাট, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এবং কবরস্থানের জমি দখলের মতো কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠলেও উচ্ছেদের ব্যাপারে চুপ করে থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে নানা কথা উঠছে। নদী দখলের ফলে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং স্থানীয় জনগণের জন্য নানা জমি চাষাবাদে সেচে সমস্যা তৈরি হচ্ছে দাবি স্থানীয় কৃষকদের।
এ ব্যাপারে সুপ্রিয় বাবুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পরিবেশগত ক্ষতি: নদী ভরাটের ফলে পরিবেশ ও তার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: কবরস্থানের জমি দখল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং মৃতদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছে।
সামাজিক অস্থিরতা: দখলদারি কার্যক্রমের কারণে এলাকায় উত্তেজনা ও অসন্তোষ বেড়েছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ জমি উদ্ধার ও সমস্যার সমাধানের জন্য এখুনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসককে দ্রুত পদক্ষেপ গ্ৰহনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভুক্তভোগীরা। সেনুয়া নদী ও কবরস্থানের জমির বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার আহ্বান স্থানীয়দের।
ভূমি দস্যুদের জমি দখলের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সাথে সাথে প্রয়োজন হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে নদী ও কবরস্থানের জমি রক্ষার নির্দেশনা চাওয়ার প্রত্যাশা সবার।
তাছাড়া বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে অবহিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দলের নেতা বাবুলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করায় আইনি ব্যবস্থা গ্ৰহনের দাবি উঠছে জেলার বিভিন্ন মহলে।
এ জাতীয় আরো খবর..