এম মোহাম্মদ ওমর, শরনখোলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ, বেনাপোল, খুলনা, যশোর রুটে পুনরায় সরাসরি পরিবহন গাড়ি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। তবে মানববন্ধন করার পরেও চালু হয়নি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি গুলো বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই রুটে
নভেম্বরে মানববন্ধন করলে কিছু পরিসরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) শরনখোলা খুলনা রুটে গাড়ি চলাচল করলেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার যাত্রীদের। বাসের সীট না পেয়েও দাঁড়িয়ে যেতে হয় গন্তব্যে। ধারন ক্ষমতার বাহিরে যাত্রীদের যাতায়াত উঠা নামা করতে হয়, এতে বিপাকে পড়ে যাত্রীরা বাসের সামনের অংশ থেকে শুরু করে পিছনের অংশ পর্যন্ত যাত্রীদের সীট না পেয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় উঠা নামা করতে ভোগান্তির শিকার।
উপজেলা প্রসাশনের ফেসবুকে এক পোষ্টে দেওয়া বিবৃতির মাধ্যমে জানা যায়
গত ০৮/১২/২০২৪ খি: তারিখে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাতে শরনখোলা উপজেলা বাসমালিক সমিতির একজন সদস্য জনাব মহিউদ্দিন বাদল শরণখোলা থেকে খুলনা রুটে বাস চলাচল বিষয়ে মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছিলেন।জেলাপ্রশাসক মহোদয় সেদিন খুলনাতে অন্য একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় সভার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় তখন এ বিষয়ে আমার কাছে বিস্তারিত জানতে চান। আমি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি।
৫ ই আগস্টের আগে শরণখোলা থেকে খুলনা রুটে প্রায় ৬ টি প্রাইভেট বাস চলাচল করলেও ৫ আগষ্টের পর কোন প্রাইভেট বাস চলছে না।গত ৪ মাস যাবৎ শুধু বিআরটিসির ৪টি বাস চলছে , ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এখন নতুন প্রাইভেট বাস মালিক গন বাস চালাইতে চায় তবে বাগেরহাট ও রুপসা বাসমালিক সমিতির সঙ্গে তাদের সমন্বয় হচ্ছে না।এই বিষয়ে আমি বাগেরহাট বাসমালিক সমিতির বক্তব্য শুনতে চাই - কিন্তু তাদেরো খুলনা তে প্রোগ্রাম থাকায় তারা মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রতিদিনের যাত্রীদের মধ্যে রোগী, শিক্ষার্থী, ছোট চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের যাতায়াতের চাহিদার কথা বলে যতদিন প্রাইভেট বাস চলা শুরু না করছে ততদিন আরো বেশি সংখ্যক বিআরটিসি বাস চলাচলের জন্য বিআরটিসির প্রতিনিধিকে অনুরোধ করি।
এর প্রেক্ষিতে আরো ১ টি বিআরটিসি বাস খুব দ্রুত আমাদের রুটে যোগ হবে মর্মে জানান বিআরটিসির প্রতিনিধি।
জেলাপ্রশাসক মহোদয় ও বাগেরহাট বাসমালিক সমিতির সম্মানিত সদস্য উপস্থিত না থাকায় সেদিন এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মিটিংয়ের রেজুলেশনে এটা তুলে রাখা হয়েছে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনার জন্য।আশাকরি দ্রুত সমাধান আসবে এ বিষয়ে।
তবে এখন পর্যন্ত ৪টি বাস নিয়মিত চলাচল করতেছে শরনখোলায মোড়েলগঞ্জ খুলনা রুটে আরও ১টি বাস যোগ হওয়ার কথা জানান বিআরটিসি প্রতিনিধি কিন্তু এখন পর্যন্ত যোগ হয়নি সে ১ টি বাস।
গত ৫ আগষ্টের পর শরণখোলা বেনাপোল রুটের একাধিক পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বাগেরহাট মালিক সমিতি। স্থানীয় মালিকদের কোন্দলে দূর-পাল্লার এ পরিবহন বন্ধ হওয়ার কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা এ দুই উপজেলার কয়েক হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে রোগীরা পড়েছে বিপাকে। অনতিবিলম্বে সাধারণ মানুষের এ দুর্ভোগ লাঘবের জন্য শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ-খুলনা বেনাপোল রুটের বাস চালু করার জোর দাবি জানান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি। এবং শরনখোলা - মোড়েলগঞ্জ ২ উপজেলার জনগন দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রসাশন স্থানীয় উপজেলা প্রসাশনের।
এ জাতীয় আরো খবর..