×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-০২
  • ৬৪ বার পঠিত
খন্দকার মোহাম্মদ আলী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 
নববর্ষের প্রথম দিনেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে আনন্দিত। যার চিত্রটি ফুটে ওঠেছে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  বছরের প্রথম দিনেই ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলেন ২০২৫ সালের নতুন পাঠ্যপুস্তক। বই হাতে পেয়ে খুশি হলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।  এসময় ২০২৪ সালের বার্ষিক   পরিক্ষায় উত্তীর্ণ  ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষুদ্র পরিসরে উপহার বিতরণ করেন স্কুলের সহকারী দুইজন শিক্ষীকা ও ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক মো: নুরুল আমিন (জুয়েল)। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্হানীয়  আনোয়ার হোসেন মাষ্টার,ও সমাজ সেবিকা মোছা: সাকিলা বেগম, এবং স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন।


স্হানীয়রা জানায়, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অত্র তামাই খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মৃত ছব্দের হোসেন মাষ্টার। নানা প্রতিকূলতা পার করে শতবর্ষ অতিক্রম করলেও অবহেলিত অবস্থায় পার করছে স্কুলটির দীর্ঘ সময়। আজও তার চিত্রটি অবহেলায় দৃশ্যমান হয়ে আছে স্ব-অবস্থানে। বেলকুচি উপজেলার মাঝে অদৃশ্য কারণে এই স্কুলটি নানা বিরম্বনায় পরে আছে। সরকারের উন্নয়নের ছোয়া পেলেও সে সমস্ত উন্নয়ন জেনো ক্ষণস্থায়ী  ভাবে দৃশ্যমান ছিলো। দীর্ঘ সু-দৃঢ়  পরিকল্পনায় স্কুল ভবন নির্মাণ না করায় অসাধু ঠিকাদারের খপ্পরে বার বার নির্মাণকাজে ত্রুটির কারণে স্কুলটি বর্তমান অবস্থান পূর্বের মতোই বেহাল দশা। এলাকাবাসী আশংকা করছে পূর্বের বিল্ডিং নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাহা ভেঙ্গে অল্পদিনেই অপসারণ করা হয় অতঃপর পূর্বের সেই ঠিকাদার মীর সেরাজুল ইসলাম নতুন টেন্ডারকৃত বিল্ডিং নির্মাণের কাজ পেয়ে আবারও গড়িমসি করে নিম্নমানের কাজ করে দীর্ঘ-সময় পার করছে।  স্কুল ভবন নির্মাণের কাজের তদারকি না থাকায় নানা-ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল অবকাঠামো।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কোন সমাধান মিলছে না। 


উক্ত ভবন নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,স্কুলের প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষ না থাকায় পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে, পরিবেশ সম্মত ব্যবস্থা  পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা,যারদরুন স্কুল এরিয়ার এলাকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন,কেজি স্কুলগুলোতে ভর্তি করছে তাদের  অভিভাবকেরা। স্কুল ম্যনেজিং কমিটির মূল্যায়ন না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া ঐতিহ্যময়  শতবর্ষের স্কুলটি নানা ভাবে বেহাল অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ আলী শরজমিনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহলের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি সহ ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি বৃদ্ধিকরণ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা ও সমস্যাগুলো চিন্তিত করে স্কুলটির উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনে প্রকৃত শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠ সুন্দরভাবে চলতে পারে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেন উপস্থিত ব্যক্তিদের। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat