ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ে চলমান শীত মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে মাঠঘাট শুষ্ক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ঘাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পশুখাদ্যের সরবরাহ কমে গেছে, যার ফলে এলাকার গবাদি পশু পালনকারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা জানিয়েছেন, শুষ্কতার কারণে চারণভূমিতে ঘাসের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। চাষের জমিতেও রবিশস্যের জন্য পর্যাপ্ত জৈব সার প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে, কৃত্রিম পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা কেনাও অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঠাকুরগাঁও শহরে প্রায় হরহামেসাই দেখা যায় পশুখাদ্যের অভাবে স্থানীয় গরুরা দেয়ালের পোষ্টার চেটে চেটে খেতে দেখা যায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এক খামারি পারভেজ আলম বলেন, “আগে মাঠ থেকে গরুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করতাম। এখন সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। ঘাসের অভাবে গরুর খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পশুদের শারীরিক অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে।”
জেলার প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, “প্রাকৃতিক শুষ্কতা ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পশুখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ এবং কৃত্রিম খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
স্থানীয়দের মতে, এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষ করে, গবাদি পশুদের জন্য অস্থায়ী খাদ্য সরবরাহ এবং ঘাস চাষে সহায়তা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পশুপালন শিল্প টিকিয়ে রাখতে দ্রুত সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
এ জাতীয় আরো খবর..