×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-০৬
  • ৭৩ বার পঠিত
রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর 

 পিঠা শুধু লোকজ খাবার নয়, এটা বাংলা ও বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য। এর সঙ্গে মিশে আছে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পারিবারিক ও সমাজজীবন থেকে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে যাচ্ছে। তবে এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা।সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাপা পিঠার সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনেপাতা বাটা অথবা শুঁটকি ভর্তা মাখিয়ে চিতই(গ্রাম বাংলার কাঁচি খোচা) পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয়ে শীত পালায়।
শীতের আমেজ শুরু হতেই ঝিনাইগাতী বাজারে  ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির ধুম।সন্ধ্যা হলেই দেখা যায়, রাস্তার পাশে বসে পিঠা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মন্টু। 

শীতের সময়ে পিঠার দোকানে ক্রেতার আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠায় আড্ডা জমে উঠে পিঠার দোকানে। এছারাও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে  মৌসুমি পিঠার দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পিঠা বিক্রেতারা ।এই পিঠার স্বাদ পেতে রিকশা-চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, ছুটির দিনে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যান। এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই ১০ টাকা ও ডিম চিতই ২৫  বিক্রি হয়।ছেলেকে নিয়ে পিঠা খেতে আসা সাংবাদিক জাহিদুল হক মনির  জানান, ‘শীতের সময় চিতই, ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে।

বিশেষ করে নানা রকম ভর্তা দিয়ে গরম চিতই পিঠার স্বাদই আলাদা। এটা গরমের সময় ততটা খাওয়া যায় না। তা ছাড়া ভাপা পিঠাও বেশ মজার। এ সময় পিঠার জন্য দোকানে সিরিয়াল দেওয়া লাগে। বিকেলের নাশতায় চিতই আর ভাপা পিঠা যোগ করে আলাদা স্বাদ’। তাই আমি ছেলেকে নিয়ে পিঠা খেতে এসেছি।পিঠা কিনতে আসা সাংবাদিক  সাদ্দাম  হেসেন  জানান, ‘শীত আর পিঠা কেমন যেন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ছোট বেলায় মা পিঠা বানিয়ে দিতো আর সন্ধ্যার সময় বই নিয়ে পড়তে পড়তে পিঠা খেতাম। সেগুলো স্মৃতি হলেও শীত আসলে পিঠা খেতেই হবে। তাই দোকানে আসা পিঠা খাওয়ার জন্য।’

পিঠা বিক্রেতা আয়নাল  জানান, ‘শীত আসতেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। পিঠা বানানো থেকে সবকিছু করতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। আমি ৬ টি চুলায় পিঠা তৈরি করি। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি’।
পিঠা বিক্রেতা আরও জানান, ‘বছরের এই সময়টা শীতকালীন পিঠার বেচা-বিক্রি বেশি হয়। তাইতো এই সময়ে দোকানিরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারি। বর্তমানে চিতই, ভাপা, বরাপিঠা,ডিম চিতই, ডিম ভাপা, পাটিসাপটাসহ ৫ থেকে ৬ ধরনের পিঠা তৈরি করছি । আর চিতই ও ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য থাকছে নারকেল গুর সহ বাহারি পদের ভর্তা। শীত যত বাড়বে আমাদের পিঠা বিক্রিও ততো বাড়বে’।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat