×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১৮
  • ৬৯ বার পঠিত
মোঃ সুমন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা প্রতিনিধি
ঢাকার নবাবগঞ্জের গালিমপুর এলাকার রাকিবের নিখোজের দুইদিন পরে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে রাকিব তার নিজ বাড়ী থেকে অটো চালানোর জন্য বের হয়। পরবর্তীতে সে আর বাড়ীতে না ফেরার আশেপাশে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করেন রাকিবের পরিবার। খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ১৬ই জানুয়ারি ভিকটিমের বড়ভাই রবিউল হোসেন নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী (জিডি নং-৮৩২) করেন।

পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় তদন্তে নিখোঁজ ভিকটিম রাকিবের সহিত সর্বশেষ ইয়াসিনের সাথে দেখা হয়েছে তথ্য পেয়ে ইয়াসিন’কে থানায় নিয়ে আসলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ইয়াসিন জানায় যে, তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার এর সাথে ভিকটিম রাকিবের অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে ভিকটিম’কে ইয়াসিন ও মামাতো ভাই আঃ রহমান পরস্পর যোগসাজোশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও গলায় কুপাইয়া হত্যা করেছে। পুলিশ আরও জানান যে, ইয়াসিন ও ফাতেমার বিয়ের আগেই, ভিকটিম রাকিব ও ফাতেমার মধ্য অবৈধ্য সম্পর্কের ফোটেজ থাকায় প্রতিনিয়তো ইয়াসিকে ব্লাকমেইল করে নগদ অর্থ দাবি করেন ভিকটিম রাকিব। পুলিশ আরও ১৫ই জানুয়ারির আগেও ২/৩বার রাকিবকে উচিত শিক্ষাদেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে তারা সর্ব শেষ ১৫ই জানুয়ারি সকালে আগলা পূর্বপাড়া সাকিনস্থ সুবেদ আলী টিপু সাহেবের মৎস খামারের পূর্ব দক্ষিণ কোনায় ডোবার পাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুুপিয়ে হত্যা করে। আসামীরা মৎস খামারের দক্ষিণ পার্শ্বে ডেবার মধ্যে কচুরিপানার নিচে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে দেয়।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি চৌকশ টিম উক্ত ঘটনাস্থলে আটককৃত ইয়াসিন সহ স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিজু খান, গ্রাম পুলিশ মনির হোসেন, মৎস খামারের ম্যানেজার তারেক ও স্থানীয় বেশ কিছু লোকজনের উপস্থিতে আসামী ইয়াসিনের দেওয়া তথ্য এবং দেখানো মতে ভিকটিম রাকিবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল হতে ভিকটিমের পরনের উদ্ধার করা জ্যাকেট ও ভিকটিমের পরনের জামা কাপড়, পায়ের স্যান্ডেল দেখে মামলার বাদী ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত নিশ্চিত করেন। এসময় ভিকটিম ও আসামিদের মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ, উক্ত ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং- ১১, তারিখ- ১৮/০১/২৫ ইং), ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। এক প্রেস ব্রিফিং এ নিশ্চিত করেন দোহার সার্কেল এএসপি আশরাফুল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat