×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৯-২৮
  • ৩০ বার পঠিত
মো: ইফতান চৌধুরী লেমন 
 শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
‎শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিটের হালচাটি, মালিটিলা, গজারীচালা, মাগুনঝুড়া, দরবেশতলা ও ৫নম্বর এলাকায় প্রতিরাতে হাজার হাজার টাকার বালু পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
‎স্থানীয়দের অভিযোগ, অবাধ বালু পাচার চলতে থাকলে গারো পাহাড় অচিরেই “নেড়া পাহাড়ে” পরিণত হবে। এর ফলে শুধু পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই ধ্বংস হবে না, সরকারও হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব
‎স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও বালু খেকোদের বন বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই হয়তো বা বালু পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
‎প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮এপ্রিল শেরপুরের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৯(৪) অনুযায়ী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সকল বালুমহাল বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপরেও প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ঝোড়া ও গারো পাহারের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
‎চক্রটি রীতিমতো রাস্তায় রাস্তায় পাহাড়াদার রেখে বালু পাচার করেছে। ইউএনও অভিযানে গেলে আগেই পাহাড়াদারদের মাধ্যমে খবর পেয়ে যায় চোরাই বালু পাচারকারী চক্র। ফলে উপজেলা প্রশাসনের দৃঢ় অবস্থান সত্বেও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ বালু পাচার।
‎শিক্ষানবিশ ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার তহিদুল ইসলাম বলেন,“আমি এই বিটে যোগদানের পর দিনরাত স্বল্পসংখ্যক স্টাফ নিয়ে লড়াই করছি। ইতোমধ্যে একটি মাহিন্দ্র জব্দ করে মামলা করেছি। মালিটিলা এলাকায় বালুভর্তি গাড়ি আটকাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। বালুখেকুরা আমাকে অবরোধের চেষ্টা করেছিল। এরপরেও প্রতিনিয়ত পাচারকারীদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছি। ফলে চক্রটি আমাকে টার্গেট করে মিথ্যা অভিযোগ ও হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু কোনো হুমকিতেই আমি দমে যাব না
‎এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, আমাদের দলের কোন লোক বালু উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত নয়। তার পর ও কেউ দলের বা কোনো নেতার নাম ভাঙিয়ে যদি এই অবৈধ কাজ করে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত তাদের প্রতিহত করতে কঠোর ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তবে আমি শত ভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছি। দলীয় কোনো লোক বালু উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত নেই।
‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আমাদের পরিচালিত অভিযানে বালু উত্তোলন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat