খন্দকার মোহাম্মদ আলী, সিরাজগঞ্জ :
আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে তৃণমূলের পাশাপাশি সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগহীন থাকা অনেক নেতাই এখন মাঠে নেমে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় এলেই এসব “অবদানহীন নেতা” নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে সক্রিয় হন। কিন্তু ক্ষমতায় আসা দলের অনুসারীরাই সরকারি সেবার বড় অংশ ভোগ করেন, বিপরীত দলের সমর্থক এবং নির্দলীয়রা থেকে যান বঞ্চিত।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, সুবিধাবাদী মৌসুমি নেতাদের কারণে সাধারণ মানুষ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলেন, জননেতাদের উচিত মাঠে থেকে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কার্যক্রম চালানো, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের কল্যাণে কাজ করা। কিন্তু বাস্তবে অনেক নেতার কর্মকাণ্ড ব্যক্তিস্বার্থকেই বড় করে তুলছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অবদানহীন নেতাদের সহযোগীরা প্রতিহিংসা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দম্ভ দেখিয়ে প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের কলঙ্কিত করছে। ফলে অনেক যোগ্য নেতা রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের মতে, প্রকৃত নেতৃত্বের অভাব এবং অজ্ঞতার কারণেই এ সংকট তৈরি হয়েছে।
এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কার কী অবদান রয়েছে—তা জনগণের সামনে প্রকাশ করার দাবি উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের ভোটাররা চান, সততা, অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও কল্যাণমূলক ভূমিকা যাদের আছে তারাই আগামীতে প্রার্থী হোন।
এলাকার সচেতন ভোটাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—অবদানহীন নেতাদের দৌড়ঝাঁপ, সন্ত্রাসী কায়দায় ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা ভোটবাক্স ভর্তির সুযোগ আর দেওয়া হবে না। এবারের নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ—এমন প্রত্যাশাই এখন সাধারণ মানুষের।