×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০৭
  • ৫৬ বার পঠিত

শরয়ীতপুর প্রতিনিধি ;

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আলহাজ্‌ মতিউর রহমান সাগর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সোমবার (৬ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।


অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নড়িয়ায় যোগদানের কিছুদিন পর নোয়াদ্দা বাংলাবাজার এলাকায় বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একটি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করেন ব্যবসায়ী মতিউর রহমান সাগর। কাজের বিল উত্তোলনের সময় ইউএনও “অফিস খরচ” খাতে ৮ শতাংশ অর্থ দাবি করেন—এমন অভিযোগ করেছেন তিনি। দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।


অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে থাকাকালীন তার কর্মচারী বিল্লাল হোসেন সরকার নির্ধারিত ওএমএস চাল বিতরণ করেন। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউএনও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। ২৩ আগস্ট দেশে ফিরে ওই নোটিশের জবাব দাখিল করলেও তাতে ইউএনও সন্তুষ্ট হননি বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। পরবর্তীতে ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম মিলে বিষয়টি “মীমাংসা”র জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন—এমন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।


অভিযোগে বলা হয়, চাহিদামতো অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফৌজদারি আইনে মামলা করার সুপারিশসহ একটি চিঠি ইস্যু করা হয় এবং তা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। মান-সম্মানের কথা বিবেচনা করে সেদিন সন্ধ্যায় উপজেলা পুকুরঘাট এলাকায় খামের মাধ্যমে ইউএনওকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মতিউর; তবে বাকি ৩ লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর অবশিষ্ট টাকা প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং দরকষাকষির পর আরও ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়—অভিযোগপত্রে এমনটিই বলা হয়েছে।


অভিযোগকারী দাবি করেন, অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার ১১ দিন পর ইউএনও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে তাঁর গুদামে অভিযান চালিয়ে ৩৫৫ কেজি চাল ঘাটতির অভিযোগে ৪১,৪০৬ টাকা জরিমানা করেন এবং তাঁর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার লাইসেন্স স্থগিত করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।



এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ দিয়েছে তা আমি এখনো দেখি নাই। আপনারা যে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সে কেন অভিযোগ দিয়েছে”।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat