মাসুদ চৌধুরী সাঈদ, স্টাফ রিপোর্টার ;
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী নন্দিনীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। আলোচনা ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় কয়েক রকমের। অতিরিক্ত মদ্যপান ও স্ট্রোক জনিত আবার কেউ বলছেন হিটস্ট্রোকে। আলোচনায় আরো আছে নন্দিনীর নানা বাড়ি শৈলকুপা। গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়েও চলছে হরেকরকম ভ্রান্ত মতবাদ। এহেন তথ্যমতে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গিলন্ড গ্রামের অটোচালক অনিল সরকারের বড় মেয়ে নন্দিনী রানী সরকার। নন্দিনীর বাবা অটোরিকশা চালিয়ে দুই মেয়ের লেখা -পড়া আর সংসার পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। এই অভাব অনটনের মধ্যে নন্দিনী অসাধারণ মেধাবী ছাত্রী হওয়াতে অনেকেই সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।
এবার নন্দিনী ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিলে ১৩৩ নাম্বারে কৃতকার্য হলেও অর্থ অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত। ঠিক ঐ মূহুর্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নন্দিনীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে নজরে পড়ে সমাজের বিত্তবান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। অনেকেই সহযোগিতা করলেও নন্দিনীর সমস্ত দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। এবং আর্থিক সহায়তাসহ নন্দিনীর বাড়ি পাঠান মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতাকে। নন্দিনীর ভর্তি নিশ্চিত। সম্প্রতি স্বার্দিয় দূর্গা পূজায় কাকার সাথে বেড়াতে যান কাকার শশুর বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভান্ডারী পাড়া। সপ্তমী পূজায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়ান। ঐদিন নন্দিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দেওয়ায় সুস্থতা মনে হলে ঐ বাড়ি নিয়ে আসে। পরেরদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্মরত চিকিৎসক নন্দিনীকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মৃত্যুকে নিয়ে চলছে নানা গল্প। তবে, শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুম খান মুঠোফোনে বলেন, আমরা এই ঘটনা অবহিত হয়েছি। কর্মরত ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি, তিনি আমাদের জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তির পেটে অ্যালকোহল পয়জন পাওয়া গেছে। তবে, নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানাবো।
এ জাতীয় আরো খবর..