×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১৯
  • ১১ বার পঠিত
মো: রিয়াজ, স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর:


‎শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল রোডের নারায়নপুর এভার কেয়ার হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে আশামনি (২৫) নামে এক প্রসূতির মর্মান্তিক মৃ’ত্যু হয়েছে।

প্রসূতি  আশা আক্তার সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার বাসিন্দা এবং শেরপুর শহরে কসমেটিকের দোকান পরিচালনাকারী জাহিদ হোসেনের স্ত্রী।
‎পরিবারের অভিযোগ, আশামনিকে সিজারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে অপারেশনের সময় আশামনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।

প্রসূতি আশা আক্তারের ফুফু হালিমা বেগম বলেন, আমার ভাতিজিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ডা. লুৎফর রহমান অবহেলা করে মেরে ফেলেছে। আমার সুস্থ ভাতিজি হেঁটে হেঁটে অপারেশন কক্ষে প্রবেশ করেছিল।

ভর্তির সময় সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন আশামনি। চিকিৎসক রক্তের প্রয়োজন বললে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। সিজারে সন্তান জন্মের পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এ সময় তিনি বলেন, এত স্বাক্ষর কেন? এর কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পান সবাই অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। কিছুক্ষণ পর বলা হয় রোগীর অবস্থা ভালো না। পরে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক,আমরা এর বিচার চাই। 

প্রসূতির বড় ভাই মো. অপূর্ব বলেন, আমার বোন আশা একজন সুস্থ মানুষ ছিল। এটা ছিল আশার দ্বিতীয় বাচ্চা। সিজারের সময় চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে। আর এতেই আমার বোনকে হারালাম। আমার বোনের একটা ছেলে সন্তান আর সদ্যোজাত মেয়ে সন্তান মা হারালো। আমরা এর বিচার চাই।

‎এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতাল ঘেরাও করে তালা ঝুলিয়ে দেন। তাদের অভিযোগ—ডাক্তারের অবহেলার কারণেই আশামনির মৃত্যু হয়েছে।
‎আশামনির ৩ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান ও সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তান এখন মায়াহারা হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনার পর হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে ক্ষুব্ধ স্বজন ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালটি ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার, সদর সার্কেলের এএসপি ও সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
‎এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,  মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
‎শেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, “এভার কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অবহেলার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
‎স্থানীয়রা জোর দাবি জানিয়েছেন—ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ডাক্তারের অবহেলা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইনের আওতায় আনা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat