মাসুদুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
আজ ৩০ নভেম্বর সকালে ৩ মাস ১০ দিন পর পাগলা মসজিদের ১০ টি সিন্দুক খোলা হয়েছে।রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সাংবাদিক,ব্যাংক কর্মকর্তা সহ গন্যমান্য গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে খোলা হয় সিন্ধুকগুলো।সন্ধা নাগাদ গননার কাজ শেষে এবার রেকর্ড পরিমান ৮,২১,৩৪,৩০৪/= টাকা পাওয়া গেছে।গননায় ব্যাংক কর্মকর্তা সহ প্রায় ২শত মাদ্রাসার ছাত্র সহায়তা করে। এর আগে ১৭ আগষ্ট দান বাক্সে পাওয়া গিয়েছিলো ৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। সাথে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্নালংকার পাওয়া গেছে। টাকাগুলো স্হানীয় রুপালী ব্যাংত এ জমা রাখা হয়। মসজিদটি ১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে।
সকল ধর্মের মানুষের কাছে পাগলা মসজিদ এক সার্বজনীন পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র। মানুষজন বিশ্বাস করেন, যদি যেকেউ একনিষ্ঠ নিয়তে পাগলা মসজিদে কোন কিছু দান করে তাহলে তার মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এমন বিশ্বাসের কারণে মানুষজন পাগলা মসজিদে প্রচুর দান-খয়রত করেন। অনেক মানুষ মনের বাসনা, রোগ মুক্তি, উচ্চশিক্ষা, সন্তান লাভ,
ইত্যাদি বিভিন্ন নিয়তে এই মসজিদে মানত করে থাকেন। শুধু টাকা পয়সা নয়, অনেকেই স্বর্ণালঙ্কার, হাঁস মুরগি, গবাদি পশু ও বিভিন্ন পন্য সামগ্রি দান করে থাকেন। তবে এখানে কোন মাজার নেই।
পাগলা মসজিদের দানের টাকার একটা অংশ মসজিদ এর ইমাম, মুয়াজ্জিন, এবং খাদেমদের বেতন ও মসজিদ রক্ষনাবেক্ষনে খরচ করা হয়। আশেপাশের অনেক মসজিদ ও এতিম খানার উন্নয়নে দান করা হয়।
এছাড়া দানের টাকা হতে এতিমখানা ও মাদ্রাসায় ব্যায় করা হয়। কিছু টাকা স্থানীয় অসচ্ছল বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়।
বর্তমানে পাগলা মসজিদ এর আধুনিকায়নে ১১৫ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের ৬ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এতে প্রায় ৬০ হাজার মুসুল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবে।
এ জাতীয় আরো খবর..