মো: রিয়াজ,স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর:
শেরপুরে পোস্ট অফিসে জাল নোট পাওয়ার ঘটনায় পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর নারী শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে দুই লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুনে নেওয়ার সময় দেখতে পান, ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি হাজার টাকার নোট জাল।
তার আগে ৯ অক্টোবর দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহু নামের এক ব্যক্তি সরকারি চালানের দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা নেওয়ার সময় ২৫টি হাজার টাকার নোট জাল ধরা পড়ে।
ভুক্তভোগী দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করেছিলেন বলে জানান। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ নড়েচড়ে বসে। সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ জাল টাকার বিষয়ে তদন্ত করছে।
শেরপুর পোস্ট অফিসের হেড পোস্ট মাস্টার নূর কুতুব আলম সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টা তদন্ত্য করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ঠ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।পরে শাহিদা বেগম শেরপুর সদর থানায় পোস্টাল কর্মচারি মানিক মিয়াকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি জালিয়াতি মামলা করেন যার মামলা নং২১ - মামলাটির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ এস আই নজরুল ইসলাম শেরপুর ডাকঘরে কর্মচারি ফুলপুর তারাকান্দার আব্দুল হেকিম মন্ডলের ছেলে মোঃমানিক মিয়া কে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ৫ টা ২০ মিনিটে শেরপুর ডাকঘর থেকে গ্রেফতার করেন।
এদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপরজনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও পোস্ট অফিসের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। মানিককে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ও হাফিজুর রহমানকে শনিবার (১৮ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবাইদুল আলম বলেছেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..