নিজস্ব প্রতিবেদক
মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসে একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ,কিন্তু রহস্যজনক কারনে হচ্ছে না কোন তদন্ত, হয় না কোন বিভাগীয় শাস্তি।অনুসন্ধানে একের পর এক বেরিয়ে আসছে সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব কামরুল হাসানের চাঞ্চল্যকর ঘুষ ও দুর্নীতি। জমত আলী,পিতা :মৃত কালু মিয়া,গ্রাম ঃবিনোদপুর , পোস্ট + থানা: সিংগাইর, জেলা: মানিকগঞ্জ- বলেন সারে ৫ শতাংশ এবং ৫৫শতাংশ ২টি খারিজ করতে গেলে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন পৌর নায়েব কামরুল হাসান ,ভুক্তভোগী অসহায় দিনমজুর ভ্যান চালক জমত আলী ৯০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে না পারায় আজ পর্যন্ত তার জমি খারিজ হয়নি।নায়েব মোঃ কামরুল হাসান বর্তমানে চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। কিছুদিন আগে সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের গৃহিণী লুৎফা বেগম ও তার জা সোনিয়া, ,৫২৪/পাঁচশত ২৪ টাকার খাজনা দিতে গেলে, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিস এর নায়েব কামরুল হাসান বলেন ১৫০০০ টাকা না হলে, খাজনা নিতে পারবো না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে লুৎফা বেগম ও সোনিয়া ৮০০০/আট হাজার টাকা দিয়ে, ৫২৪ টাকার খাজনা রশিদ নিয়ে চলে আসেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের এই অনিয়ম ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের জন্য, প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানায়। তারা দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করে। ভুক্তভোগীরা বলেন সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান, সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামে, ১০ ভাই বোনের সম্পত্তি দুইজনের নামে খারিজ করতে গিয়ে, ভাইয়ে ভাইয়ের সাথে মারামারি লাগিয়ে দিয়ে, এক ভাই আরেক ভাই এর আঘাতে আহত হয়, সেই সাথে এক ভাই আরেক ভাইকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আঘাত করতে গেলে, অনিচ্ছাকৃত ভুলবশত সেই প্লাস্টিকের চেয়ারের আঘাতে, নায়েব মোঃ কামরুল হাসান ও আহত হয়। পরবর্তীতে ১০ ভাই বোন ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে যাওয়ার চেষ্টা করলে, সিংগাইর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান, নিজে বাদী হয়ে, মামলা দায়ের করেন, সে মামলায় জোরপূর্বক বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুই ভাইকে দিয়ে, অন্য ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য স্বাক্ষর ও রেকর্ডিং বক্তব্য নেওয়ার ফলে ভাইবোন মিলে যেতে পারে নি। সিংগাইর পৌরসভার বিনোদপুর নয়াপাড়া গ্রামের,দিনমজুর অসহায় কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন,পৌর ভুমি অফিসের নায়েব মোঃ কামরুল হাসান আমার ১০+১০ শতাংশ কৃষিজমি থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমি, মমতা, তুষার জাহিদের নামে খারিজ করে দিয়ে, আমাকে ও মামলায় ফেলেছে। আমি নায়েব মোঃ কামরুল হাসান এর বিচার চাই, বিচার চাই। দিনমজুর অসহায় কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন,ওই দুই মহিলার নিকট, ৫২৪ টাকার খাজনা, ১৫০০০ টাকা চান, আমি নিজে কানে শুনেছি। ঐদিন নায়েব অফিসে আমার ওই সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে ভুক্তভোগী সহ সাধারণ মানুষ বলছেন আমরা শুনেছি, বর্তমান মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক একজন ভালো মানুষ, এইবার অবশ্যই তদন্ত হবে এবং নায়েব মোঃ কামরুল হাসান এর বিচার সহ সকল ঘুষখোর নায়েবদের শাস্তি হবে।