×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-২১
  • ১০৭ বার পঠিত

মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:

ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি লবন পানির তুলনায় মিষ্টি অঞ্চলে শীতের প্রভাব অনেকাংশে বেশি। খুলনা বিভাগ অভ্যন্তরীণ জেলা উপজেলাগুলোতে লবণ পানির প্রভাবে তুলনামূলকভাবে শীত অনেকাংশে কম।জানা যায়, এ বছর শহর গ্রাম সবখানে শীত যেন নতুন রূপে ফিরে এসেছে।অনুসন্ধান পূর্বক জানা যায়, শীত মৌসুমে দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা সহ প্রচুর শীতের প্রভাব ও ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা গেছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের কর্মব্যস্ত জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে চলেছে। সে তুলনায় খুলনা বিভাগের অন্তর্গত জেলা উপজেলাগুলোতে সুন্দরবনের লবণ পানির তিক্ততার কারণে এ বিভাগে,জেলায় শীতের প্রভাব উত্তরবঙ্গের তুলনায় অনেকাংশে কম। একসময় ভালো হতো নদীর জোয়ার ভাটার পানি অনেকটা গরম হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হলেও বর্তমানে দুই ঋতু বহাল রয়েছে। বায়ুমন্ডলে পরিবেশ দূষণের ফল শ্রুতিতে, নামে মাত্র ৬ ঋতু হলেও বাস্তবে দুই ঋতু উপলব্ধি করা যায়। নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে মানুষের কর্মফলের দরুন সৃষ্টিকর্তার বেধে দেয়া ছয় ঋতু এখন দুই ঋতুতে রূপান্তরিত হয়েছে। গত (২০ নভেম্বর) ভোর রাত হতে সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘলা থাকলেও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কুয়াশার দরুন প্রায় সকাল দশটা থেকে বারোটা একটা পর্যন্ত তেমন কিছু দেখা যায় না। এতে করে কর্মব্যস্ত মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। আগের দিনের আবহাওয়ার তারতম্যের সাথে বর্তমান সময়ের ছয় ঋতু ও আবহাওয়ার বিরূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্র পর্যায়ের জনগোষ্ঠী কর্মহীনতায় ভুগছে। শীতকাল একদিকে স্বাচ্ছন্দ বয়ে আনলেও অন্যদিকে অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গের জন্য চরম বিড়ম্বনার কারণ হয়েছে। অতিরিক্ত শীতের প্রভাবে শীতকালে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কর্মব্যস্ততায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধান পূর্বক জানা যায়,খুলনা সাতক্ষীরা কলারোয়া তালা পাইকগাছা কয়রা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে শীত যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে।উপকূলবাসী বলেন,দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ জনতা নিয়মিত কাজে যেতে পারছে না। এদিকে পরিবার চরম অভাবে ও উন্নত শীত বস্ত্র না থাকার কারণে অতিরিক্ত শীত কষ্টে দিনরাত পার করে চলেছেন। এমত অবস্থায় বিশ্বখ্যাত সুন্দরবন বাংলাদেশের অহংকার। সেখানেও চলছে অপকর্ম অন্যায় ধ্বংসাত্মক কর্মযজ্ঞ।সদ্য সংস্কৃত দেশে সঠিক তদরদী ও মনিটরিং না থাকার কারণে, সবখানেই দুর্নীতি আবার যেন নতুন রূপে ফিরে এসেছে, অপরাধ যেন নতুন রূপে মাথা চাড়া দিয়েছে। খুলনার সাতক্ষীরা জেলার প্রাণকেন্দ্র শ্যামনগর অভ্যন্তরীণ দ্বীপ ইউনিয়ন খ্যাত গাবুরা কয়রা গোলখালী ঘড়িলাল এলাকার নিরীহ জনতা প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার কারণে কর্মব্যস্ততায় চরম বাধা উপলব্ধি করছে। যে কথাটি না লিখলে নয়, অতিরিক্ত শীতে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী পশু বিশেষ করে চিত্রা হরিণ চরম কষ্টে বেঁচে আছে।কখনো কখনো নদী পার হয়ে লোকালয়ে চলে আসে হয়তো খাদ্যের সন্ধানে নয়তো বৃষ্টিতে ভিজে লোকালয় উষ্ণতা পেতে। প্রায় হরিণ মাঝেমধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাঘ)পথ ভুলে অথবা অতিরিক্ত ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে লোকালয়ে এসে অবস্থান নেয়। এ বছর শহরের তুলনায় মফস্বল এলাকাগুলোতে শীতের প্রভাব অনেকাংশে বেশি।সমাজের নিম্ন শ্রেণীর অসহায় সর্বহারা হত দরিদ্র জনগোষ্ঠী সমাজের প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে দিনাতিপাত করছে। সমাজের বিত্তবানদের বিবেক এখন যেন মরতে বসেছে।দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে একটু মোটা কাপড়, সাময়িক সহযোগিতা দেয়ার মানসিকতা টুকু বিত্তবানদের মনে প্রভাব ফেলে না। যদিও স্বৈরাচার বিতাড়িত বাংলাদেশ এখন সদ্য স্বাধীন। তথাপি সর্বহারা অসহায় দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত জনগোষ্ঠীকে সামান্য সহযোগিতা দেয়ার মত বিত্তবান সমর্থ্যবান ব্যক্তি সমাজে থাকলেও সেই মানসিকতা নেই বললেই চলে। ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর আবেদন,সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থা উপকূলীয় জনপদের সর্বস্বান্ত সম্প্রদায়কে সামান্য সহযোগিতা প্রদান করলে আমরা অর্ধাহারে থেকেও কিছুটা স্বস্তিতে বেঁচে থাকতে পারতাম। মফস্বল এলাকার প্রত্যন্ত পল্লীর উপকূলের নিরীহ জনতা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সামান্য সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বিনীত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat