৮৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫.২০ কিলোমিটার নির্মিত দীর্ঘ এই সড়কটি পটিয়ার যানজট নিরসন করলেও পরিণত হয়েছে যেনো মরণফাঁদে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রতিদিন একের পর এক ছোট বড় দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ ও পঙ্গু হচ্ছে এবং আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে অনেক মানুষ।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানায়। বেপরোয়া গলিতে যানবাহন চলাচল।
নির্মাণ ত্রুটি সম্পূর্ণ রাস্তা ওয়ান বাই ওয়ান না থাকায়। সড়কটি আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে এবং কিছুদূর পরপর রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার ব্রিজগুলো উঁচু নিচু হওয়ায়। এছাড়াও লাইটিং ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি সন্ধ্যার পর কিশোর গ্যাংকের উৎপাতসহ চুরি চিন্তায় এর ঘটনা ঘটছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আনোয়ারা রাস্তার মাথা, বৈলতলী সড়ক, ভাটিখাইন সড়ক ও কচুয়াই শ্রীমাই সেতু, দক্ষিণ ঘাটা, সড়ক এলাকা। বাইপাস সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচলের কারণে সংযুক্ত সড়কের গ্রামের ছোট গাড়িগুলো কিংবা পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
বিগত সরকারের আমলে দূরপাল্লার যাত্রীদে দুর্ভোগ লাঘবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ আগস্ট ২০১৯ সালে বাইপাস সড়কটি চালু করা হয়। জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য এসময় সাময়িকভাবে সড়কটি খুলে দেন। পরে গত ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পটিয়া বাইপাস সড়কটি চালু হওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যোগাযোগ ক্ষেত্রে নবদিগন্ত সূচিত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনকালে অভিমত প্রকাশ করেন। বর্তমানে এ সড়কটি চালু হওয়ায় দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে পটিয়া সদরে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়তে হচ্ছে না। এমন কি এর ফলে তাদের সময় ও দূরত্ব দুই কমে এসেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে সড়কটি চালু হওয়ার পর থেকে এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..