রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে ভুট্টার ভালো ফলন হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন ভুট্টা চাষিরা । অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। ভুট্টা চাষে খরচ কম। ফলন- দাম ও লাভ বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি বলে দাবী কৃষি বিভাগের।
সেই আশায়ই সীমান্তাঞ্চলের শেরপুর জেলা ও ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উল্লেখিত জেলা উপজেলায় এবার বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে।
শেরপুর কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যা মতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে শেরপুর জেলায় ৫ হাজার ৩৪৭ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলার সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক ও সংবাদকর্মী শান্ত শিফাত বলেন, এবার আমি ৪ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এছাড়াও এলাকায় এবার ভুট্টা চাষ বেশী করা হয়েছে। ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও বেশি থাকে। এ জন্য কৃষকরা ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছে।’
‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, কৃষি অফিস থেকে যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। সেই বীজ না লাগিয়ে বাজার থেকে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা লাগানো হয়েছে। অফিস যে সার দেয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই খুচরা বাজার থেকে সার ও কীটনাশক কিনে ব্যবহার করতে হয়েছে।
তবে বাজারে সার ও কীটনাশকের দাম কম হলে সবার জন্যই ভালো হতো।
‘ঝিনইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, সব ধরনের ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরা যেন সহজে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষ করে বীজ, সার ও তেলের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হবে এবং চাষ ও গতবারের চেয়ে বেশী হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হুমায়ুন কবির বলেন, ভুট্টা চাষ লাভজনক এবং সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা দিনকে দিন এই চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
আবার অনেক জায়গায় ভুট্টা গাছ দিয়ে সাইলেস (গোখাদ্য) হাঁস মুরগির খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে তাই চাহিদাও বাড়ছে।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আশা করছি এ বছর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
এ জাতীয় আরো খবর..