মাসুদুর রহমান, কিশোরগঞ্জ
২৭ জানুয়ারি রোজ সোমবার সাড়ে ১২ টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে গিয়ে প্রতিটি টেবিল কানায় কানায় পুর্ন পাওয়া যায়।এছাড়াও বাইরে কয়েকজনকে লাইব্রেরীতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।তবে লাইব্রেরীতে অবস্হানরত বেশিরভাগই চাকুরী প্রত্যাশী।তারা প্রায় সবাই নিজেরা বাইরে থেকে তাদের চাকুরির প্রস্তুতির বই নিয়ে আসে।লাইব্রেরীতে থাকা বই এর প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নাই,বিভিন্ন প্রকার দৈনিক পত্রিকা ছাড়া।বেশিরভাগ চাকুরী প্রত্যাশীই শহরের মেসে বসবাস করে পড়াশুনা করে।এসব মেসে পড়াশুনার খুব একটা পড়াশুনা করার পরিবেশ না থাকার কারনে তাদের পড়াশুনার জায়গা হিসেবে জেলা সরকারি গন গ্রন্থাগার ই ভরসা।বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের পড়াশুনার জন্য লাইব্রেরি থাকলেও সেখানে ভর্তি ফি অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে সকলেই এত টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে লাইব্রেরি ব্যবহার করার সুযোগ পায় না। প্রতি শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগার খোলা থাকে। পড়ুয়ার দাবি করেন যতদিন যাচ্ছে সরকারি গণগ্রাম থাকারি উয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা আরো দাবি করেন যদি বর্তমানে একতলা ভবনটি কে দোতলায় সম্প্রসারণ করা হয় তাহলে আরো বেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পাবে। এদিকে লাইব্রেরীতে কর্মরত একজনের সাথে কর্মরত একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, গণগ্রন্থাগারে আসলে সত্যিকারের পাঠক খুব একটা আসেনা।যারা আসে তাদের বেশিরভাগই চাকুরীপ্রত্যাশী। সোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে বেশিরভাগ মানুষই তাদের জানার বিষয় প্রথমে গুগল / অনলাইন থেকে জেনে নেবার চেষ্টা করে।তবে একেবারেই যে আসে না এমন নয়।যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তারা প্রায়ই আসে। তবে যাই হোক পড়ুয়ারা এখানে আসে এবং নিরবতার সাথে পড়াশুনা করে চাকুরীর প্রস্তুতি নেয় এতে তাদের উপকারই হচ্ছে।দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মফস্বল সব লাইব্রেরীগুরোরই একই অবস্হা বিদ্যমান।পাঠক চাহিদার কথা বিবেচনা করে কিশোরগঞ্জ সরকারি গণ গ্রন্হাগারটির সম্প্রসারন সময়ের দাবি।
এ জাতীয় আরো খবর..