রিপন মিয়া , রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:
২ কেজি ওজনের নাগা সিঙ্গারা তৈরী করে ভোঁজন রসিকদের কাছে পছন্দের রেস্টুরেন্টে হিসেবে রূপ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাগবের এলাকার মাছুম রেস্টুরেন্ট৷ এখানে সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বোম্বাই মরিচ ও গোঁপন মসলায় তৈরী ২ কেজি ওজনের নাগা সিঙ্গারা।
দোকানের কারিগর ওমর ফারুক জানান, আটা,ময়দা, বাদাম,বুট আর গোঁপন মসলার সাথে বোম্বে মরিচ খ্যাত নাগা মরিচ মিশিয়ে তৈরী ২ কেজি ওজনের সিঙ্গারা খেতে প্রতিদিন খাবার হোটেলে আসেন ভোজন রসিকরা। নিজেরা খেয়ে তা বাড়ির অন্য সদস্যদের জন্যেও নিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি সিঙ্গারা খেতে তাই আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, জীবনের প্রথম নাগা মরিচের ২ কেজি ওজনের সিঙ্গারা ভেঙ্গে খেয়েছি। অসাধারণ হয়েছে। রূপগঞ্জের এই প্রথম এমনটা দেখেছি। গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, নাগা সিঙ্গারা তা আবার ২ কেজি ওজনের।এই প্রথম দেখলাম। বাগবের বাজারের মাছুম মিয়া এমন নতুন সিঙ্গারা তৈরী করে আলোচনায় এসেছেন। বহু দূর থেকে লোকজন দেখতে, কিনতে, খেতে আসে। আমিও খেলাম। অসাধারণ একটা রেসিপি।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ভোর ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলা খাবার হোটেলটিতে কাজ করেন প্রায় ২০/২৫ জন শ্রমিক। রকমারি খাবার তৈরি করায় দিনভর থাকে ব্যস্ততা। গুন ও মান সম্মত খাবার রাখায় চাহিদাও বেশ। ইদানীং নাগা সিঙ্গারা তৈরী করায় আরও মানুষ আসছেন। তারা নিয়মিত ১ কেজি,২ কেজি,কখনো হাফ কেজি সিঙ্গারা অর্ডার দিয়ে করে নিচ্ছেন।
রেস্টুরেন্ট স্বত্তাধিকারী মো: মাছুম মিয়া বলেন, আমার খাবার হোটেলে সকাল,দুপুর ও রাতে জন্যে সব রকম নাস্তা যেমন রুটি,পরোটা,ডিম ভাজি, ভাত, তরকারি, মাছ মাংস, বোরহানি, গ্রিল,কাবাব ইত্যাদি নিয়মিত করা হয়। পাশাপাশি দুপুরে সিঙ্গারা,পুরি,সমোচা তৈরী করা হয়। ইদানীং ১ কেজি, ২ কেজি ওজনের সিঙ্গারা বেশ চাহিদা পাওয়া গেছে। সখের বশত তৈরী এ সিঙ্গারার জন্যে লোকজন নিয়মিত দোকানে আসে। কেউ বসে খায়,কেউ পরিবারের জন্যে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুখরোচক খাবারের আয়োজনের ভিন্নতা থাকায় দিনদিন বাড়ছে ব্যতিক্রম রেসিপির বাহারী খাবার। এমন ধারনা থেকেই রূপগঞ্জের ২ কেজি ওজনের সিঙ্গারা পেয়েছে ভিন্নতর পরিচয়।
এ জাতীয় আরো খবর..