×
সদ্য প্রাপ্ত:
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, চালকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা হবিগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ঢাকার ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম-কলকাতায় মক্কায় এক সপ্তাহে ১৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দুটি পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু, পুলিশের বাধা মিরপুরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পাচারকালে ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ রূপগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও লেখক শহিদুল আলম কে আটোক ইসরায়েলি বাহিনীর
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২২
  • ১২ বার পঠিত
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ:

বুধবার  (২২ অক্টোবর) পালিত হয় আন্তর্জাতিক তোতলামি সচেতনতা দিবস ২০২৫। পৃথিবীর গতিময়তায় ক্যালেন্ডারের পাতায় আরও একটি ২২ অক্টোবর চলে গেলো।এইবারের প্রতিপাদ্য ‘তোতলামি কোনো রোগ নয়, সহজেই ভালো হয়’।প্রতিবছর ২২ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় “তোতলামি দিবস।এই দিনের মূল লক্ষ্য হলো— তোতলামি বা বাক্‌ব্যাধি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, তোতলা ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি তৈরি করা এবং তাদের প্রতি সমাজের ভুল ধারণা দূর করা।তোতলামি কেবল শব্দের অস্পষ্টতা নয়; এটি একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক সম্পর্ক ও মানসিক সুস্থতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। তোতলা শিশুরা প্রায়ই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ে এবং উপহাসের শিকার হয়। তাই এই দিবসটি শুধু তোতলা ব্যক্তিদের জন্য নয়, বরং সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের জন্য একটি ভাবনার দিন।সঠিক বোঝাপড়া, সহমর্মিতা ও থেরাপির মাধ্যমে তোতলামি নিয়ন্ত্রণযোগ্য, এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য।

আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত— তোতলা মানুষকে উৎসাহ দেওয়া যেন তারা তাদের কণ্ঠে গর্ববোধ করতে পারে এবং সমাজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে।

> তোতলামি কী?

তোতলামি হলো এমন একধরনের বাক্‌বিকলতা যেখানে কথা বলার সময় ধ্বনি, শব্দ বা বাক্যাংশ পুনরাবৃত্তি হয়, দীর্ঘায়িত হয় বা হঠাৎ থেমে যায়।যেমন— কেউ বলতে চায় “আমি স্কুলে যাব”, কিন্তু বলতে গিয়ে বলছে— “আ… আ… আমি স্কু…স্কু…স্কুলে যাব।”

এটি কেবল উচ্চারণ সমস্যা নয়; বরং মস্তিষ্কের ভাষা নিয়ন্ত্রণ ও পেশি-চালনার মধ্যে অসামঞ্জস্যতার ফল। সাধারণত ২–৭ বছর বয়সে যখন শিশুরা কথা শিখছে, তখনই এর শুরু হয়। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে এটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে তা প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।

তোতলামি মানসিক চাপ, ভয় বা আত্মসমালোচনার কারণেও বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো সময় স্নায়বিক আঘাত বা মানসিক ট্রমার পরও এটি দেখা দেয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— তোতলামি কোনো বুদ্ধিগত অক্ষমতা নয়; বরং এটি শুধু একটি বাক্‌বিকলতা, যা সঠিক যত্ন ও অনুশীলনের মাধ্যমে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 > তোতলামির কারণ 

তোতলামির কারণ একক নয়; এটি একাধিক জৈবিক, মানসিক ও পরিবেশগত কারণে ঘটে।

১️. জেনেটিক বা বংশগত কারণ:- প্রায় ৬০% তোতলা ব্যক্তির পরিবারের কারও তোতলামির ইতিহাস থাকে। নির্দিষ্ট কিছু জিনের পরিবর্তন  বাক্‌সংক্রান্ত স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে।

২️. স্নায়বিক বা নিউরোলজিক্যাল কারণ:
মস্তিষ্কের কার্যক্রমে ভারসাম্যহীনতা থাকলে তোতলামি হয়। MRI গবেষণায় দেখা গেছে, তোতলা ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে কথা বলার সময় ডান অংশের কার্যকলাপ অস্বাভাবিকভাবে বেশি থাকে।

৩️. মানসিক চাপ ও ভয়: - ভয়, সামাজিক লজ্জা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি শিশুর মনে গভীর প্রভাব ফেলে। ফলে কথা বলার সময় স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে তোতলামি বাড়ায়।

৪️. পরিবেশগত কারণ:- শিশু যদি বারবার তিরস্কৃত হয় বা “ঠিক করে বলো” ধরনের চাপ পায়, তবে সে নিজের কণ্ঠে অনিরাপত্তা বোধ করে— যা তোতলামি সৃষ্টি করতে পারে।

৫️. মস্তিষ্কে আঘাত বা স্ট্রোক:- প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হঠাৎ তোতলামি শুরু হলে তা স্নায়বিক আঘাত, মস্তিষ্কে টিউমার বা স্ট্রোকজনিত হতে পারে, যাকে Acquired Stuttering বলা হয়।

>>তোতলামির লক্ষণ 

তোতলামির মূল বৈশিষ্ট্য হলো কথার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়া, তবে এর সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক উপসর্গও দেখা যায়।

>  কথার ধরনে লক্ষণ
* শব্দ বা অক্ষর পুনরাবৃত্তি (যেমন: মা-মা-মা-মানুষ) * ধ্বনি টেনে বলা (যেমন: মাআআআনুষ) * কথা শুরু করতে দেরি হওয়া বা থেমে যাওয়া * অনিয়মিত বিরতি, হঠাৎ থেমে যাওয়া * বাক্য সম্পূর্ণ করতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা

> শারীরিক লক্ষণ
* ঠোঁট, মুখ বা গলার পেশি টান ধরা * চোখের পলক ফেলা, মাথা নাড়ানো * ঘাম, হৃদকম্পন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অস্বাভাবিকতা * কণ্ঠস্বরে কম্পন

>  মানসিক লক্ষণ

* জনসমক্ষে কথা বলার ভয় * আত্মবিশ্বাস হারানো * সামাজিক যোগাযোগে অনীহা * হীনমন্যতা ও মানসিক চাপ

> তোতলামির প্রকারভেদ

১️. বিকাশজনিত তোতলামি:- শিশুর ভাষা শেখার সময় ঘটে, সাধারণত ২–৭ বছর বয়সে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে বয়সের সঙ্গে চলে যায়।

২️. নিউরোজেনিক তোতলামি :- মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক বা স্নায়বিক সমস্যার কারণে হঠাৎ শুরু হয়।

৩️. সাইকোজেনিক তোতলামি :- মানসিক আঘাত, ট্রমা বা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর দেখা দেয়।

> তোতলামির জটিলতা 

১️. আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান হ্রাস:
তোতলা ব্যক্তিরা প্রায়ই নিজেদের অযোগ্য মনে করেন, যা মানসিক বিকাশে বাধা দেয়।

২️.সামাজিক ও পারিবারিক দূরত্ব:
তোতলামির কারণে অনেকেই যোগাযোগ এড়িয়ে চলে, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়।

৩️. মানসিক অবসাদ ও হতাশা:
দীর্ঘদিনের তোতলামি থেকে আত্মসম্মান কমে গিয়ে বিষণ্ণতা তৈরি হয়।

৪️.  শিক্ষা ও পেশাগত প্রতিবন্ধকতা:
মৌখিক পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে ভয় পাওয়ায় অনেকেই পিছিয়ে পড়ে।

৫️. সামাজিক বিদ্রূপ ও বৈষম্য:
তোতলা মানুষকে নিয়ে উপহাস বা বিদ্রূপ তাদের মানসিক ক্ষতি করে এবং একাকিত্ব বাড়ায়।

৬️.  মানসিক চাপ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া:
অতিরিক্ত ভয় থেকে ঘাম, কণ্ঠ কম্পন, এমনকি গলার পেশিতে ব্যথা হতে পারে।

> তোতলামির রোগ নির্ণয়

মূল ধাপগুলো:
১. কথা বলার ধরন ও পুনরাবৃত্তি বিশ্লেষণ
২. শ্রবণ ও বোঝার ক্ষমতা পরীক্ষা
৩. স্নায়বিক মূল্যায়ন (আঘাত বা স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে)
৪. মানসিক মূল্যায়ন (চাপ বা ভয় থেকে সৃষ্টি হলে)

>  প্রতিকার ও পরামর্শ 

তোতলামি সম্পূর্ণ নিরাময় নাও হতে পারে, কিন্তু সঠিক অনুশীলন ও সহায়তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব। পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

* শিশুকে কখনো তিরস্কার বা উপহাস করা যাবে না। * তার কথা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে, বাক্য শেষ করতে সাহায্য না করে সময় দিতে হবে।
* স্কুলে সহানুভূতিশীল পরিবেশ ও স্পিচ থেরাপি ব্যবস্থা থাকা জরুরি। * তোতলা ব্যক্তিকে সবসময় উৎসাহ দিন— তাকে যেন মনে না হয় সে “অন্যরকম”। প্রতিদিন আয়নার সামনে ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
গভীর শ্বাস নিয়ে কথা শুরু করলে কথা বলায় ছন্দ আসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— ভয় নয়, আত্মবিশ্বাসই তোতলামি কমানোর চাবিকাঠি।

> তোতলামির পরিসংখ্যান

* বিশ্বে প্রায় ১% মানুষ তোতলামিতে ভোগে।
* শিশুদের মধ্যে হার প্রায় ৫%, তবে ৭৫–৮০% বয়সের সঙ্গে ভালো হয়। * পুরুষদের মধ্যে হার মহিলাদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। * বাংলাদেশে আনুমানিক ২০–২৫ লাখ মানুষ তোতলামিতে আক্রান্ত।

>  সমাজে তোতলামি নিয়ে ভুল ধারণা

* তোতলামিকে অনেকেই বুদ্ধির ঘাটতি বা আত্মবিশ্বাসের অভাব মনে করেন— যা সম্পূর্ণ ভুল।
* তোতলা ব্যক্তিরা বুদ্ধি, প্রতিভা ও নেতৃত্বে সমান সক্ষম।
* বিশ্বখ্যাত তোতলা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন— উইনস্টন চার্চিল, আইজ্যাক নিউটন, ব্রুস উইলিস, টাইগার উডস, জো বাইডেন প্রমুখ।
তাদের জীবন প্রমাণ করে— তোতলামি দুর্বলতা নয়, এটি এক প্রকার চ্যালেঞ্জ, যা পরিশ্রমে জয় করা যায়।

> সচেতনতার আলো

তোতলা দিবসের মূল বার্তা—“তোতলামি লজ্জার নয়, এটি বোঝার বিষয়।”

আমাদের করণীয়—* তোতলা মানুষকে সহানুভূতির চোখে দেখা। * শিশুদের তোতলামি নিয়ে ঠাট্টা না করা। * ধৈর্যসহকারে তাদের কথা শোনা * স্কুলে ও কর্মক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা * ভালোবাসা ও সচেতন আচরণই পারে তাদের জীবনে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে।

> তোতলামি চিকিৎসায় হোমিও সমাধান

তোতলামি বা বাক্‌বিকলতা  হলো এমন একধরনের বাক্‌ব্যাধি, যেখানে কথা বলার সময় শব্দ আটকে যায়, পুনরাবৃত্তি হয় বা অনিয়মিতভাবে বের হয়।  শিশুকালে ভয়ানক কোনো অভিজ্ঞতা থেকেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।আধুনিক চিকিৎসায় তোতলামির ক্ষেত্রে স্পিচ থেরাপি, মানসিক পরামর্শ ও নিয়মিত অনুশীলনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এখানে এক কার্যকর বিকল্প ও পরিপূরক ভূমিকা রাখতে পারে। হোমিওপ্যাথি দেহ ও মনের সমন্বিত চিকিৎসা করে— তাই তোতলামির মতো স্নায়ুজনিত ও মানসিক সমস্যায় এটি বিশেষভাবে কার্যকর প্রমাণিত।তোতলামির জন্য কার্যকর হোমিও প্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি -অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকেরা রোগীর মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিচার করে নিচের ঔষধসমূহ প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে থাকেন।স্ট্রামোনিয়াম  – ভয় বা আতঙ্কে তোতলানো শিশুদের জন্য উপকারী। যারা অন্ধকারে ভয় পায় বা কথা বলতে গিয়ে আটকে যায়, তাদের ক্ষেত্রে দারুণ ফল দেয়।লাইকোপোডিয়াম – আত্মবিশ্বাসের অভাবে তোতলানো শিশু বা কিশোরদের জন্য কার্যকর। বিশেষ করে যখন অপরিচিতের সামনে কথা বলতে ভয় লাগে। জেলসেমিয়াম – অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা ভয় থেকে কথা আটকে গেলে এটি উপকারী। বক্তৃতা বা পরীক্ষা দেওয়ার আগে যারা কাঁপে, তোতলায়, তাদের জন্য উপযুক্ত।কস্টিকাম – যারা ধীরে ধীরে কথা বলতে গিয়ে থেমে যায়, শব্দ উচ্চারণে কষ্ট হয় বা গলায় টান পড়ে, তাদের জন্য উপকারী।মারকিউরাস সলুবিলিস  – জিহ্বা ভারি লাগে, মুখে লালা জমে, শব্দ স্পষ্টভাবে বের হয় না— এমন ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে। বেলাডোনা – মানসিক উত্তেজনা বা রাগের সময় তোতলানো বৃদ্ধি পেলে এ ওষুধ কার্যকর ফল দেয়।

> হোমিওপ্যাথি  চিকিৎসা ও যত্নে করণীয়

* তোতলামি চিকিৎসায় শুধু ওষুধ নয়, ধৈর্য, ভালোবাসা ও মানসিক সমর্থনও অত্যন্ত জরুরি।

* শিশুকে কখনো তিরস্কার করবেন না।

* ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।

* বিভিন্ন বিষয়ে , গল্প বলা বা আয়নার সামনে কথা বলার অনুশীলন করুন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সর্বদা রোগীর মানসিক অবস্থা, পারিবারিক পরিবেশ ও শারীরিক গঠন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। আর নিজে থেকে ওষুধ গ্রহণ না করে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়াই সর্বোত্তম। তাই  সঠিকভাবে প্রয়োগ ও নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা তোতলামির স্থায়ী সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, তোতলামি কোনো ব্যর্থতা নয়, বরং এটি একধরনের চ্যালেঞ্জ যা জয় করা সম্ভব। এই দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— একজন মানুষ তার কণ্ঠস্বর দিয়ে নয়, বরং তার চিন্তা ও চরিত্র দিয়ে মূল্যবান। তোতলা শিশুরা যদি ভালোবাসা, সাহস ও সহায়তা পায়, তারা অন্য সবার মতোই সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারে। চলুন, আমরা সমাজ থেকে উপহাস ও লজ্জার দেয়াল ভেঙে ফেলি। প্রতিটি কণ্ঠস্বরই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি শব্দই অর্থবহ। আমরা সবাই মিলে বলি—তোতলামি নয়, কথা বলার সাহসই সবচেয়ে বড় শক্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat