×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১১-০৩
  • ১৯ বার পঠিত

ডেস্ক নিউজ :


গ্রামের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ৫০০/১০০০ টাকায় ভোট বিক্রি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তার এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক ও শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে অসম্মান করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। একই সঙ্গে বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে নুরকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

ওই পোস্টে আব্দুল আলিম আরিফ লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এই প্রজন্ম নিজেদের ভোটাধিকার নিয়ে সচেতন। এই প্রজন্ম টাকার বিনিময়ে কিংবা চটকদার বক্তব্যের কাছে বিক্রি হয় না। যারা স্বার্থের কাছে নিজেকে বিক্রি করে তারাই এই প্রজন্মকে বিক্রি করার স্বপ্ন দেখতে পারে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এরকম ধারণা পোষণ করে তাদের শিক্ষার্থীরা নিকট অতীতে প্রত্যাখ্যান করেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন ধারণা পোষণকারীদের শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ আগামীতেও প্র‍ত্যাখ্যান করবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আমাদের সততা, নিষ্ঠা ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করব ইনশাল্লাহ। ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের নিকট থেকে এমন বক্তব্য আমাদের ব্যথিত করে। এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটকে অসম্মান করে। নুরুল হক নুরের এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের করে শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।


প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের একেবারে ভূমিধস বিজয় হয়েছে। সবাই জানে স্বতন্ত্ররা যারা জিতছে তারাও শিবিরের নেক্সাসের। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কেন তাদের ভোট দিলো?

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা জানান, তার বিশ্লেষণে শিবিরের এই সাফল্যের পেছনে কাজ করছে তাদের ‘ওয়েলফেয়ার বেইজড পলিটিক্স’ বা কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি। তারা ছাত্রদের নানা সুবিধা দেয়। অনেকে বলছেন, কিছু হাসপাতালে শিবির এমন চুক্তি করেছে যেখানে সদস্যদের পরিবার খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে।

সুবিধার বিনিময়ে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে নুর আরও বলেন, গ্রামে আমরা দেখি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মানুষ ভোট দিয়ে দেয় আরেকজনকে। বাছ-বিচার করে না। সেটা জনসচেতনতার অভাব যার ফলে অযোগ্য মানুষ সংসদে চলে আসে, নেতৃত্বে চলে আসে; তাহলে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা তো তাই করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat