×
সদ্য প্রাপ্ত:
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, চালকদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা হবিগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ঢাকার ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম-কলকাতায় মক্কায় এক সপ্তাহে ১৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দুটি পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু, পুলিশের বাধা মিরপুরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পাচারকালে ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ রূপগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও লেখক শহিদুল আলম কে আটোক ইসরায়েলি বাহিনীর
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২৬
  • ১১৫৯ বার পঠিত

নুরুল কবির, সাতকানিয়া:

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক সরব প্রচারণা। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিয়মিত সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে—এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, এ আসনে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্য অবস্থান নেই।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনটিকে দীর্ঘদিন ধরে “জামায়াতের ঘাঁটি” বলা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে একাধিকবার জামায়াতপন্থী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এবারও দলটির কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী মনোনীত হয়েছেন। ফলে জামায়াত নেতাকর্মীরা আশাবাদী আসনটি পুনরুদ্ধারে।

তবে বিএনপি এবার অন্য রকম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে। দলীয় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে স্থানীয় নেতারা। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম গত জুলাইয়ে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় দুই দফা বৈঠক করেন। মূল লক্ষ্য—জামায়াতের ঘাঁটি থেকে আসন উদ্ধার।

মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দীন আহমেদ, আবার কেউ বলছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী কেউ একজন হতে পারেন প্রার্থী।
তবে স্থানীয়দের মতে, যদি প্রার্থী হন স্থানীয় জনপ্রিয় নেতাদের কেউ, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সমানে সমান।

 নিরপেক্ষ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে—স্থানীয় বিএনপিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই নেতা হলেন
 জামাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান
তৃণমূলের মতে, তাদের মধ্যে যে কেউ প্রার্থী হলে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন— দল যখন দুঃসময়ে ছিল, তখন জামাল ভাই মাঠে ছিলেন। বহুবার কারাভোগ করেও দল ও জনগণের পাশে থেকেছেন। আমরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জামাল হোসেনকেই চাই।

অন্যদিকে, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন— আমরা মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে চাই। তাঁর নেতৃত্বেই সংগঠন এখন সুসংগঠিত।

সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরমান হোসেন বলেন— জামাল হোসেনই ছিলেন রাজপথের নেতা। আন্দোলন-সংগ্রামে কারাভোগ করেও তিনি দলের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
আগামী নির্বাচনে ঐতিহ্যবাহী এই আসনে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দুই পুরনো শরিক—বিএনপি ও জামায়াত।
একদিকে ঐতিহাসিক জামায়াত ঘাঁটি, অন্যদিকে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি।
রাজনীতির মাঠ বলছে—চট্টগ্রাম-১৫ আসনে হতে যাচ্ছে সমানে সমান লড়াই।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat