×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-১০
  • ৫৪ বার পঠিত
এহসানুল মাহবুব সাজিদ, প্রতিনিধি, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর):
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ তার উপর নির্মান করা হয়েছে ভাসমান সেতু। কিছুদিন আগে সেতুটি অতিবৃষ্টি ও বন্যার কবলে পড়ে দু’পাশে ও মাঝের একাধিক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে । পারাপারে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি । যে কোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা,  এমনটাই আশঙ্কা করছেন সেতু ব্যবহারকারী স্থানীয় বাসিন্দারা  ও আশেপাশের থানা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
সরেজমিন দেখা যায় , ভাসমান সেতুটির দুপাশে প্রায় ৫০ মিটার অংশ  মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ । পশ্চিম পাশের ২০ মিটার অংশের পাটাতনগুলোর সংযোগ ঝালাই খুলে গিয়ে বিচ্ছিন্ন অবস্থা । রশি দ্বারা একটি পাটাতনের সাথে আরেকটি পাটাতন কোনরকমে আটকানো । পাটাতনের সংযোগ জায়গাগুলোর মাঝে হা হয়ে আছে । পাটাতনের দু পাশের রেলিং লন্ডভন্ড হয়ে পানির উপর ভাসছে ।  
সেতুর পূর্ব পাশ আরো ঝুঁকিপূর্ণ ।  এখানেও স্টিলের পাটাতন গুলো ভাঙ্গাচুড়া । সেতুর সাথে সংযোগ প্রায় ৩০ মিটার নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো । সেতুর ভাঙা স্থানগুলোতে যুবক-যুবতিরা লাফিয়ে পারাপার হলেও বয়স্ক মানুষগুলোকে হামাগুড়ি দিয়েই পাড়াপাড় হতে হয়।  পার হতে একটু খামখেয়ালি হলেই ডুবে যেতে হবে নদে । লোহা কিংবা বাঁশের খোঁচায় আহত নিশ্চিত । রাতে পারাপার সুবিধার্থে রেলিংয়ের মাঝে মাঝে লাইটিং ব্যবস্থা ছিলো । লাইটগুলোও নষ্ট হয়ে আর জ¦লে না ।  এতে রাতের বেলায় দ্বিগুন কষ্ট করে পারাপার হতে হচ্ছে। 
সেতুটির সুফলে পৌর শহরের চর কালিকাপুর, বানিয়ানিরচর ও মাইছেনির চর এলাকার শতাধিক পরিবারের যাতায়াত সহজ হয়েছে। অন্যদিকে  এটি জামালপুর জেলার একমাত্র ভাসমান সেতু । নদের পশ্চিমে পৌর শহর । পূর্ব পাশে প্রাকৃতিক পরিবেশ । স্থানটি মানুষকে আকৃষ্ট করে তুলেছে। পুরো জেলার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে আসে । ভাসমান সেতুটি জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান হিসাবে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে । ফলে প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষের চলাচল সেতুটির উপর ।  সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্তময় থাকে সেতুটি । সেতুর বিভিন্ন অংশে ভেঙে যাওয়াই দর্শনার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে না । 
মাইছেনির চরের  বাসিন্দা মিনা বেগম সেতুটি পার হয়ে মন্তব্য করেন, ডাক্তার দেখাতে হাসপাতাল যাচ্ছি । অনেক ভয় নিয়ে কষ্ট করে সেতুটি পার হলাম । আমি বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষ ।  কোন কারনে পানিতে পরে গেলে মরেই যাবো । 
চর কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা নূর হোসেন, সেলিম হোসেন, বাবু, সাজু, জাকিরুল সহ অনেকের ভাষ্য, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে সেতুটি ভাঙা । সংস্কারের অভাবে দিনদিন আরো ভেঙে যাচ্ছে । ফলে পারাপারে কষ্টের শেষ নেই ।  শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ সেতুটি ব্যবহার করেন । ইতিমধ্যে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন । 
২০১৮ সালে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার অর্থায়নে ১৪৫ মিটার ভাসমান সেতুটি নির্মান হয়েছে । পৌরসভা কর্তৃপক্ষই নিয়মিত সংস্কার করে থাকে । বর্তমান সমেয় সেতুটির ভাঙ্গাচুড়া অবস্থা সম্পর্কে  পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, সেতুর বিভিন্ন অংশ ভাঙার তথ্য পেয়েছি ।  জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত মেরামতের পরিকল্পনা চলছে ।  
উল্লেখ্য স্থানীয়দের মতামত ভাসমান সেতুটির সংষ্কার অতি-জরুরী । নয়তো যে কোন সময় ঘটবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat