গোলাম মোরশেদ,রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগরে মোসারফ হোসেন গোল্ডকাপ ফাইনাল টুর্নামেন্টে কালীগ্রাম কসবাপাড়া সূর্য তরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে ফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহণের জন্য হেলিকপ্টার যোগে খেলার মাঠে নিয়ে গেলেন কসবা পাড়া তরুন ক্লাব।
এলাকায় এই প্রথম হেলিকপ্টার যোগে খেলোয়ারদেরকে নিয়ে খেলার মাঠে উপস্থিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। হেলিকপ্টার গ্রামে আসবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এক নজর দেখার জন্য কিশোর-কিশোরী নারী-পুরুষের ঢল নামে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত ছিল রাণীনগর থানা পুলিশ। খেলার মাঠে তিল পরিমান জায়গা নেই। খেলার মাঠের চার পাশে উৎসব মুখর মানুষের ভিড়। যে যে ভাবে পারছে একনজর হেলিকপ্টার দেখার জন্য মাঠের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা নিরলস ভাবে কাজ করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের গুয়াতা জি, এ, কে, বি ক্রিয়া সংঘের উদ্যোগে গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ সালে মোসারফ হোসেন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৬টি দল অংশ গ্রহণ করে।
এক পর্যায়ে উপজেলার কালীগ্রাম কসবাপাড়া তরুন ক্লাব ও কয়াওবাড়িয়া পাড়া মিলন সমিতি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেই খেলায় কসবাপাড়া সূর্য তরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার যোগে খেলোয়ারদেরকে নিয়ে গুয়াতা ফুটবল মাঠে উপস্থিত হয়। হেলিকপ্টারের আকর্ষণে হাজার হাজার দর্শক একনজর দেখার জন্য ভীড় জমায়। এই ফাইনাল খেলায় খেলা দেখার পাশা-পাশি মুল আকর্ষন ছিলো হেলিকপ্টার যোগে খেলায়ারদের মাঠে প্রবেশ করা।
সূর্য তরুন ক্লাবের সভাপতি ওহেদুল ইসলাম মিলন জানান, আমরা প্রায় ১ মাস ধরে বিভিন্ন দলের সাথে খেলে চুড়ান্ত খেলার যোগ্যতা অর্জন করি। আমাদের গ্রামবাসি এবং প্রবাসি কয়েক জন ভাইয়ের সহযোগীতায় স্থানীয়দের নতুন কিছু আনন্দ উপভোগ করাতে গিয়ে আমরা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে আমাদের গ্রামে নিয়ে আসি। এখান থেকে খেলোয়ারদেরকে নিয়ে তিন কিলোমিটার দূরে গুয়াতা খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। উৎসক জনতা এক নজর দেখার জন্য সকাল নয়টা থেকে এলাকায় ভীড় জমায়।
মোসারব গোল্ডকাপের প্রধান কর্ণধর রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারফ হোসেন জানান, আজকের ফাইনাল ফুটবল খেলায় কালীগ্রাম কসবাপাড়া সূর্য তরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার যোগে খেলোয়ার নিয়ে এসে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশের অংশিদার হয়েছে তারা। সত্যিই তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম জানান, এখানে হেলিকপ্টার আনা হবে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে এখানে অতিরিক্ত পুলিশ মতায়েন আছে। জনগণ জাতে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এই ফাইনাল খেলা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপভোগ করতে পারে তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..