ফেনী ব্যুরো ;
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের ছোট আহম্মদপুর গ্রামে ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। ১৩ বছর আগে স্বামী ও তিন সন্তান ফেলে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া এক নারী হঠাৎ ফিরে এসে এখন দাবি তুলেছেন সম্পত্তির! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে তিন সন্তান রেখে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান ছোট আহম্মদপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী বানু বেগম। স্বামী ইসমাইল হোসেন তখন একাই সন্তানদের লালন-পালন করতে গিয়ে চরম কষ্টে পড়েন। পরে সন্তানদের সঠিকভাবে বড় করার স্বার্থে তিনি একই ইউনিয়নের বারাহিগুনী এলাকার সালেহা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর সালেহা মাতৃত্বের ভালোবাসায় তিন সন্তানকে নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটছিল তাদের। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হলে সেই শান্ত সংসারে নেমে আসে ঝড়।
প্রথম স্ত্রী বানু বেগম হঠাৎ ফিরে এসে ইসমাইলের সম্পত্তির ওপর নিজের মালিকানা দাবি করতে শুরু করেন। এমনকি একাধিকবার বাড়িতে এসে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালান, বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সালেহা বেগম ও তার সন্তানদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী দ্বিতীয় স্ত্রী সালেহা বেগম সাংবাদিকদের জানান, “বানু বেগম ১৩ বছর আগে আমাদের ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। এখন হঠাৎ ফিরে এসে আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখল করতে চাইছে। এতে আমি খুব ভয় পাচ্ছি। বিষয়টি আমরা গ্রামের বড়দের জানিয়েছিলাম, তারা বৈঠক ডাকলেও বানু সেখানে উপস্থিত না হয়ে উল্টো গণ্যমান্যদের অপমান করেছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বানু বেগম সামাজিক বৈঠকে অংশ না নিয়ে বরং এলাকার প্রভাবশালীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “যে নারী স্বামী ও সন্তানদের ত্যাগ করে অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছিল, তার আবার ফিরে এসে সম্পত্তি দাবি করা নৈতিকতার পরিপন্থী।”
বর্তমানে ভুক্তভোগী সালেহা বেগম দাগনভূঞা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..