×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১১
  • ১৭ বার পঠিত
মানিকগঞ্জ ;

এনসিপি মানিকগঞ্জ জেলা প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান তালুকদার বলেছেন, এনসিপি’র দ্রুত জনপ্রিয়তা ও বিস্তারে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “এনসিপি’র বর্ধন অনেকের কাছেই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ বিদেশে থাকলেও, দেশে থাকা কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামার প্রয়োজন হয় না— মনোভাবের মধ্যেই সেটি কাজ করে।”

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের এনসিপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে “জুলাই যোদ্ধা রাব্বির মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে” আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাব্বি নিজেই মামলার বাদী হয়ে মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তিনি নিজের মামলার আসামিদের পক্ষ নিয়ে তাদের নাম বাদ দিচ্ছেন এবং আদালতের বাইরে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এতে আদালতও তার আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন এই এনসিপি নেতা।

তিনি আরও জানান, রাব্বির মামলার আসামিদের মধ্যে মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র তসলিম হৃদয়, লাভলু, রেজাউল করিম চঞ্চল, মাসুদ, দ্বীন ইসলাম ও কামরুলসহ আরও কয়েকজনের নাম “ভুলবশত অন্তর্ভুক্ত” হয়েছে বলে রাব্বি এফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে এসব কাজ টাকার বিনিময়েই হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাহিদুর রহমান তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান তালুকদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. মাহফুজ, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুর রহমান মুরাদ, গালিবুর রহমান গালিব, কাজী হারুনুর রশিদ পিন্টু, প্রফেসর নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই যোদ্ধা সাদিকুল ইসলাম রাব্বি গত বুধবার এনসিপি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার ৫৯ নম্বর আসামি ও মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মতিনের নাম বাদ না দেওয়ায় এনসিপি’র জেলা প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান তালুকদার ও যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাহফুজ তাকে হুমকি দিয়েছেন।

রাব্বি অভিযোগ করেন, চিকিৎসার জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা তার কাছে পৌঁছেনি। মামলার কারণে তিনি ভয়ভীতিতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও দাবি করেন।

অন্যদিকে, দেওয়ান মতিন বলেন, তিনি কোনোদিনই মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন না এবং এ ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat