×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১১-০৪
  • ৩২ বার পঠিত
মোঃ জয়নাল আবেদিন জয়, রাজশাহী ব্যুরো :


 রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর শেরশাহ রোডে অবস্থিত রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের অংশীদার মো. আতাউর রহমান (৪৭) রাজপাড়া থানায় ১৪ জন নামীয় ও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

বিবাদীরা হলেন, মো. হুমায়ন খালেদ বি শিহাব (৩৭), নূর হোসেন (২৫), মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান (৩০), মো. গোলাম মোস্তফা (৩০), মো. আলতাব হোসেন (৪০), মো. জাবের আলী (৩৪), ইয়াহিয়া খান (৫৫), মো. উজ্জল হোসেন (৩৮), মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৮), মো. নেহাল (২৩), মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), হোসেন ওরফে কালো হোসেন (২৩), মো. তাজ (২২), মো. আব্দুল বারীক শাহ নয়ন (৩০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল সোমবার (০৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশ করেন। এসময় হাসপাতালের এক পার্টনার মো. শামীম আহম্মেদ (৩২) বিবাদীদের তালা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন।

এ সময় বিবাদীরা হাসপাতালের ক্যাশ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা চুরি করে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের কর্মচারী মো. প্রাপ্ত (২৫)-কে মারধর করে তার মানিব্যাগে থাকা ১৫ হাজার টাকা এবং গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা) ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনার পর আহত শামীম আহম্মদকে সহকর্মী নাইম (৩২) ও সুমন (৩০) এর সহায়তায় অটোরিকশায় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগকারী আতাউর রহমান বলেন, “২০১৮ সালে মোট ৬৩ জন শেয়ারহোল্ডার মিলে ১০০টি শেয়ারের মাধ্যমে এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে চালু হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ২০২১ সালে চালু হয় হাসপাতাল ও এমআরআই সার্ভিস। শিহাব শুরু থেকেই এককভাবে আয়-ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং গত ৮ বছরে কোনো প্রকার হিসাব প্রদান করেননি।

শেয়ারহোল্ডারদের অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে সমস্ত আর্থিক লেনদেন। এছাড়া, নিরীক্ষা (অডিট) সম্পন্ন করার জন্য বহুবার বলা হলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছেন বলে দাবি করেন তিনি।”

তিনি বলেন, হামলায় আমাদের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আইনগত সহায়তার জন্য আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান এজাহার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় একটি লিখিত এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat