মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বারহাট্টা ইউনিয়নের জিতন গ্রামে সরকারি কাঁচা রাস্তায় মালামাল পরিবহনের সময় বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী আলামিন (৩৭), পিতা মৃত. আব্দুল রশিদ বারহাট্টা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি রাস্তায় মাল নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হামলার ঘটনায় বাদিসহ ১২ বছরের এক শিশু (বাদির ভাতিজি), বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী, ভাই আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা ১️. সোহেল (২৫), পিতা সাইব আলী,২️. সাজু (২৪), পিতা এগরাজ মিয়া, ৩️ রুমান (৩০), পিতা রুহুল আমিন, ৪️. মন্নাক (৩৪), পিতা মৃত. মাজু মিয়া, ৫️. আমিরুল (৪০), পিতা আব্দুল গনী, ৬️. খাইরুল (৩৩), পিতা এগরাজ মিয়া
ভোক্তভোগী আলামিন বলেন,,তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় চাকরি করেন, চাকরি করে টাকা জমিয়ে জমিয়ে একটি পাকা ঘরটি উঠাচ্ছেন।কিছু কাজ করা আছে বাকিটুকু সম্পন্ন করার জন্য বাড়িতে আসেন এবং ঘরের কাজ শুরু করেছেন সেজন্যই হেন্ট্রলি ইট নিয়ে আসলে প্রতিবেশী অভিযুক্তরাসহ ২০-২৫ জন লোক শিশু, মহিলা, বৃদ্ধা আহত হয়েছে।কষ্ট লাগছে এই ভেবে ভাতিজি কে ১০-১২ জন পুরুষ কিভাবে মারধর করলো। এটা সরকারি রাস্তা কারও ব্যক্তিগত রাস্তা নয় যে বাঁধা দিবে বা বাঁধা দেওয়ার অধিকার আছে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরে মেম্বারকে সমাধানের কথা বলে যান। কিন্তু তিনি এভাবে সমাধান চান না কারণ কিছুদিন আগেও তারএক ভাতিজা কে মেরেই ফেলছিল এলাকার মানুষ খোঁজ পাওয়াতে বেঁচে যায়।এলাকাবাসী সমাধান করে দেয়।আরো কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই যা হবে আইনের মধ্যেই হবে।কারণ কিছুদিন পরে পরে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে আবার মাফ চেয়ে সেই আবার একই ঘটনা ঘটাবেই।তাই এর সঠিক বিচার চান তিনি।
অভিযুক্ত সোহেল মিয়া বলেন, “রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে বলে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। এ সময় আলামিন আমাকে গালাগালি করে, পরে এ নিয়েই মারামারির সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ জাতীয় আরো খবর..