নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে ভুক্তভোগীর নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনে তালা ঝুঁলিয়ে দেয় বজরা ইউনিয়নের ৭নং  ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোফিজ।

দুপুরে উপজেলার বজরা শাহী জামে মসজিদ এলাকার ডিলারের বাড়িতে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সামছুল হক(৬৭) সোনাইমুড়ী থানা ও র্যাব-১১ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন, বজরা ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোফিজ মেম্বার(৪৫), বজরা গ্রামের বাসিন্দা আমিন(২৮) ও বাবুল(২৬)। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২ টার দিকে সামছুল হকের বসতঘরে গিয়ে অভিযুক্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে গালিগালাজ ও মারধর করা হয় ভুক্তভোগীকে। এক পর্যায়ে বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ পরিবারের  সকলকে একসাথে আটকে মুল ফটকে তালাবদ্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। পরে আটক অবস্থায় মোবাইলে স্বজনদের কাছে ঘটনা জানালে তারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বিকালে থানা পুলিশ, র্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে চাবি উদ্ধার করে তালা খুলে দেন আইন শৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সামসুল হক জানান, হামলাকারী ও চাঁদা দাবি করা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখল ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময় তারা চাঁদা দাবি করতো। বাড়িতে এসে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করে।  ঘরের ভেতরে আটকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায়। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা  তালা খুলে তাদের উদ্ধার করে।ভুক্তভোগী পরিবার যে কোন সময় অভিযুক্তদের দ্বারা হামলা-মারধোরের আশঙ্কা করছেন। তারা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার এস আই কাউসার জানান, ভুক্তভোগীর ঘরে তালা দিয়ে কতিপয় লোকজন চাঁদা দাবির ঘটনার সত্যতা রয়েছে। ঘটনা জানতে পেরে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে বসত ঘরের তালা খুলে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। 

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোফিজ টাকার দাবিতে বসত ঘরে তারা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।