এম.এ.হাসনাত শুভ, আজমিরীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;
ভাটি বাংলার রাজধানী খ্যাত হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এর জ্ঞান পিপাসু, সংস্কৃতি প্রেমীদের মিলনমেলা ও বিনোদন এর স্থান ছিল আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন গরুহাট সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরী।
তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন (আফাই) মিয়ার প্রচেষ্টায় বিভাগীয় কমিশনার জনাব হাবিবুর রহমান লাইব্রেরীটি চালু করেন। বই-পত্রিকা পড়া, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হতো এই লাইব্রেরীতে।
সরজমিন দেখা যায় একসময়ের জনপ্রিয় জায়গাটিতে এখন ময়লার ভাগাড়, আবর্জনার স্তূপে রাখা হয়েছে, যাতে করে একসময়ের সবচাইতে প্রানচঞ্চল লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে ভূতুড়ে অবস্থা আর ময়লার স্তূপ নিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবি আমাদের অহংকার আর মিলনমেলা পাবলিক লাইব্রেরীটি যেনো আবারো জনসমাগম এ পরিণত হয়ে উটে সে ব্যবস্থা করে দিতে, যার ফলে এলাকার সংস্কৃতি ফিরে আসবে, বর্তমান তরূণদের মোবাইল আসক্ত থেকে দূরে সরিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ও কবি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই লাইব্রেরী তে আমার অনেক স্মৃতি বিদ্যমান। অনেক নাটক, কবিতা, গান করেছি এই লাইব্রেরীতে। তখনকার মানুষের আড্ডার প্রাণ ছিল এই লাইব্রেরি, অনেক পুরস্কার ও অনেক সার্টিফিকেট অর্জন করেছি এই লাইব্রেরীতে যা এখন শুধু কল্পনা আর রূপকথার গল্প। তখন ছিলনা মোবাইল এর ছড়াছড়ি মানুষের সমাগমে আর আনন্দ আড্ডায় প্রাণবন্ত ছিল এই লাইব্রেরী।
এই বিষয়ে এলাকার একজন শিক্ষক বলেন, স্কুল - কলেজের নানান আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক - রাজনেতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন সংঘটনের নাট্যমঞ্চ, হরেক রকম প্রশিক্ষন, গান, কবিতার উপযুক্ত জায়গা ছিল এই লাইব্রেরী। এলাকার সংস্কৃতি ধরে রাখতে এই লাইব্রেরীর গুরুত্ব অপরিসীম ।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় যেনো আজমিরীগঞ্জ বাসীর ঐতিহ্যের স্মারক এই পাবলিক লাইব্রেরী পুনরায় চালু করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..