“এসো দেশ বদলায়, পৃথিবী বদলায়” -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুর ডিসি উদ্যানে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব।
সোমবার (১০ ফ্রেব্রুয়ারি ) ২ দুইদিন দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব ও পণ্য প্রদর্শণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিলো লোকে লোকারণ্য।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উৎসবের অংশ হিসেবে পিঠা ও পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. হাফিজা জেসমিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক তোপায়েল আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
বাহারি রংয়ের পিঠা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। দেশে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসবে পিঠার প্রলন অতি প্রাচীন। এ ধরনের আয়োজন সবাইকে গ্রাম-বাঙলার সংস্কৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবে উদ্যোক্তাদের স্টলে রংবেরংয়ের বাহারি ডিজাইনের লবঙ্গ লতিকা, পাটিসাপটা, হৃদয় হরণ, শঙ্খ, স্পঞ্জ, গোকুল, মিষ্টিপুলি, পায়েস রোল, সেমাই, রস, নকশি, পেয়াজু, গাজরের হালুয়া, সুজি, ডিমের ঝাল পাটিসাপটা, নুডলস, চিতই, তেল, তালের, খির চমচম, খেজুর, দুধপুলি, কেক, মিষ্টি ছাড়াও আরো বিভিন্ন নামের পিঠা।
টেবিলে রকমারি থালায় থরে থরে সাজিয়া রাখা হয়েছে এসব পিঠা। যা দেখলে জিহ্বায় আসে পানি। উদ্যোক্তারা জানান মাত্র দশ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে যে কেউ পিঠা কিনে এর স্বাদ নিতে পারেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি লালন করতে প্রতিবছরই এ উৎসবের আয়োজন করেন তারা।
উদ্যোক্তারা এখানে তারা পিঠার ও পণ্য প্রদর্শনী কেন্দ্র দোকান দিয়েছে। এতে উদ্যোক্তাদের পিঠা ও পণ্য প্রদর্শনী সম্পর্কে তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে শিখছে। সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতেও এধরনের উৎসবের আয়োজন করবেন বলে জানান তারা।
এ উৎসব তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা মানসিকতা বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।