জাহিদ হাসান টিপু, শরীয়তপুর জেলা ;
শরীয়তপুর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক ১৬ বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন জরুরি রোগীরা হাসপাতাল থেকেই নিরাপদ রক্ত পাবেন; বাইরে ঘুরতে হবে না। তবে পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে আরও কিছু জনবল দরকার।
দীর্ঘ বিরতির পর শরীয়তপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে ।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরএমও ডা. মিতু আক্তার, ডা. হোসনে আরা রোজী, ডা. আকরাম এলাহি, ডা. রফিকুল ইসলাম মামুন, ডা. ইকবাল, ডা. কনক জ্যোতি মণ্ডল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে ব্লাড ব্যাংকটি প্রায় ১৬ বছর অচল ছিল। পুনরায় চালুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, জরুরি প্রয়োজন হলে রোগীরা এখন হাসপাতালের ভেতরেই রক্তের যোগান পাবেন। বেসরকারি উৎসে নির্ভরতা ও ভোগান্তি কমবে, সেবার মানও উন্নত হবে। উন্নতমানের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ২৮ দিন পর্যন্ত রক্ত রাখা সম্ভব হবে বলেও তারা জানিয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ব্লাড ব্যাংক সচল হওয়ায় অস্ত্রোপচার, প্রসূতি সেবা, দুর্ঘটনা ও রক্তস্বল্পতা–সংক্রান্ত রোগীদের জন্য দ্রুত ও নিরাপদ রক্ত সরবরাহ করা যাবে। আগে রোগীর স্বজনদের ব্যক্তিগত ডোনার বা প্রাইভেট ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হতো—যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে জরুরি সিজারিয়ান ও অন্যান্য অপারেশন বিলম্ব ছাড়াই করা যাবে; ফলে মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের জটিলতা এবং দুর্ঘটনা বা ডেঙ্গু রোগীর ঝুঁকি কমবে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্লাড ব্যাংকের জন্য দুটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদায়ন এখনও হয়নি। প্রয়োজনীয় জনবল না পাওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম ধাপে ধাপে চালানো হবে।