রনি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি ;
ময়মনসিংহের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জীবন কুমার-এর বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগভিত্তিক সংবাদ নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘুষ ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হলেও, সরকারি নথি ও সরেজমিন তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগে বলা হয়, নালিশী ভূমি সংক্রান্ত একটি বিরোধে জীবন কুমার ঘুষের বিনিময়ে পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন দিয়েছেন।
তবে জেলা ভূমি অফিসের সরকারি সূত্রে জানা যায়, ওই জমিটি সরকারি রাস্তা নয়, বরং বহু বছর ধরে উভয় পক্ষের পারিবারিক ব্যবহারের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে জীবন কুমার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন—
“নালিশী ভূমি রেকর্ডীয় রাস্তা নয়; উভয় পক্ষ দাদার আমল থেকে পারিবারিক রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। দ্বিতীয় পক্ষ বাড়ি নির্মাণের জন্য রাস্তার একাংশে গর্ত খনন ও বালির বস্তা রাখায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জীবন কুমার বলেন,
“চাকরিজীবনে সবসময় ন্যায় ও বিধি মেনে দায়িত্ব পালন করেছি। সঠিক কাজ করেও এমন মিথ্যা নিউজ প্রকাশ হলে আমরা লজ্জিত হই। কোনো অপরাধ না করেও যদি এমনভাবে মিথ্যা বলা হয়, এতে আমরা সামাজিকভাবে হেয় হই।
“আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে নথিপত্র ঘেঁটে, আশেপাশের মানুষ ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মতামত দিয়েছি।
এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, জীবন কুমার মাঠে এসে নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং দুই পক্ষের কথা শুনে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছেন, ওনার রিপোর্টেই সত্য ঘটনাটা উঠে এসেছে। এতে কোনো পক্ষপাত নেই।”
ভূমি বিশেষজ্ঞ রেদোয়ান আহমদ ঘটনাটির নথিপত্র পর্যালোচনা করে বলেন,
“এখানে জীবন কুমারের দুর্নীতি করার সুযোগ বা প্রমাণ নেই। তিনি নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পালন করেছেন। পূর্বের দলিলে রাস্তা না থাকলেও বর্তমানে জায়গাটিতে রাস্তা দৃশ্যমান এটা স্বাভাবিক পরিবর্তন। এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বোঝা যায় স্থানীয় বিরোধের জটিলতার কারণে তার কাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”
সরকারি নথি, তদন্ত প্রতিবেদন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে—সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জীবন কুমারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
একজন মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার ন্যায়নিষ্ঠ কাজকে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা কেবল ব্যক্তি নয়, বরং প্রশাসনিক সুনামকেও ক্ষুণ্ন করে।
বিগত দিনে জীবন কুমার বিভিন্ন জায়গায় চাকুরির সুবাদে তাহার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তিনি সততা-নিষ্ঠার সাথে প্রতিটি কাজ জনসাধারণের জন্য সম্পাদন করে আসছেন বলে জানাযায়।
এ জাতীয় আরো খবর..