×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২৯
  • ৩৭ বার পঠিত
  • একই বস্তায় ৩ বছরের ব্যবধানে ২ ধরনের মেয়াদ 
  • খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ 

মোঃ রিপন মিয়া , রূপগঞ্জ :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ৫০০ মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারি  খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহকৃত ৩ বছর পূর্বের পলায়নকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  খাদ্য বান্ধব স্লোগান যুক্ত পাটের বস্তায় নতুন মেয়াদ বসিয়ে পোকায় ধরা খাবার অনুপযোগী নষ্ট চাল বিতরণ করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচীবের নিয়োজিত দফেদার মাসুমসহ কর্মচারীরা। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরিফ মোহাম্মদ একইসাথে দুইস্থানে চাকুরী করা এবং কতিপয় অসাধু অফিস সহায়ককে ম্যানেজ করে খাদ্যগুদাম থেকে পুরনো মাল ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানোর। 


 ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে এমন ঘটনা ধরা পড়ে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে। একই দিন কায়েত পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ৩০ জনের অধিক নারী ও পুরুষ ২২০ টাকা সঞ্চয় জমা দিয়ে খাদ্য বান্ধব সরকারি সহায়তার নামে ৩০ কেজি করে চাল নিচ্ছেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে প্রবেশ করে দেখা যায় শতাধিক সরকারী চালের বস্তা। এসব বস্তার বেশিরভাগই ইঁদুরের কামড়ে ছেড়া,চালে পোকা ধরা নষ্ট চাল। পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত এসব চাল খাবার উপযোগী নয়। বস্তা নাড়িয়ে দেখা যায় এসব পাটের বস্তার কোনটার  গায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব শ্লোগান, উৎপাদন মেয়াদ ২০২২ সালের মে, শেষ মেয়াদ জুলাই।  আবার একই বস্তার অপরদিকে ২০২৫ এর জুলাই আগষ্ট মেয়াদ লেখা রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সহায়তা ও সুবিধাভোগী বেশ কয়েকজন জানান, সরকারী এ চাল পেতে মেম্বারদের আত্নীয় স্বজন হতে হয়েছে। প্রকৃত গরীবরা পায়নি। আমরাও পেয়েছি চেয়ারম্যানের সাথে  সুসম্পর্ক থাকায়। তবে এসব চাল আমরা খাইনা, গরু, হাস মুরগীকে খাওয়াই। যদিও এখানে সবার সামনে বলি আমরাই খাই। 

নষ্ট হওয়া সরকারি চাল বিতরণকারী কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড দফেদার মাসুম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,   দরিদ্রদের জন্যে ২২০ টাকা সঞ্চয় শর্তে মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হয়। এসব চাল উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে দেয়। কি কারনে নষ্ট চাল দেয় তা সচীব বলতে পারবেন। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ রিয়াজুদ্দিন বলেন, উপজেলা থেকে যা দেয় তাই বিতরণ করি,এখানে আমাদের কি করার আছে!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটা খাদ্য পরিদর্শক ও গুদাম পরিচালক বলতে পারবেন কেন এমন চাল দেয়। 
এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গেলে দেখা যায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আরিফ মোহাম্মদের চেয়ার, টেবিল লোকশুন্য৷ পাশের কক্ষেই আব্দুল হালিম নামীয় অফিস সহায়ক দায়িত্ব নিয়ে বলেন, তাদের খাদ্য নষ্ট হয়না। তারা ভালো চাল দিয়েছেন।  তবে গুদামে সমস্যা থাকলে তা জানা নাই।  পরে এ ঘটনা গুদাম পরিচালক আসাদুজ্জামান তুহিনের কাছে জানালে তিনি বলেন, গুদামে বিজ্ঞান সম্মতভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়৷ কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চালের বস্তাগুলো ৩ মাস পূর্বের নেয়া। তারা অনুপস্থিতের কারন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে বা সুবিধাভোগীকে দেয়নি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে দেয়ায় চালগুলো নষ্ট হয়েছে৷ আর বস্তায় দু ধরনের মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  একপাশে বস্তার মেয়াদ অপরপাশে পন্যের মেয়াদ(!), তাই আপনাদের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে৷ তবে কেন এসব খাদ্য নষ্ট করলো তা খতিয়ে দেখবো। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat