মো: রিয়াজ, জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদিগ্রামে গারো পাহাড়ের কৃষকরা চলতি শীতকালীন মৌসুমে বরবটি ও সিম চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছেন। এতে তারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণের স্বপ্ন দেখছেন।
পূর্বে গারো পাহাড়ের অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকলেও এখন সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বরবটির চাষে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। চারা রোপণের মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়—যা কৃষকদের জন্য বাড়তি উৎসাহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়াঞ্চলের তিন উপজেলা—শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর কৃষকরা চলতি মৌসুমে বরবটি চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। ফলে বদলে যাচ্ছে এলাকার কৃষকদের জীবনমান। বিশেষ করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
কৃষিবিদদের মতে, বরবটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’-এর পাশাপাশি পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন। নিয়মিত বরবটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, শর্করা ও মেদ কমে, এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, “জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা—শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে এ বছর প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে বরবটি ও সিম চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ায় ফলন ও বাজারমূল্য দুটোই আশানুরূপ।”
তিনি আরও জানান, আগামী মৌসুমে এ অঞ্চলে বরবটির চাষ আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..