গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মো. ওসমান গণি মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজেকে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী দাবি করে তিনি চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে নেন অথচ তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসনসহ সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নিবন্ধন অধিদফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ওসমান গণি মণ্ডলের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই। মুজিবনগর সরকার বিলুপ্ত হয় ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি। অর্থাৎ, সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর ৫ মাস ১৮ দিন। অথচ এত অল্প বয়সে তিনি নিজেকে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে দাবি করে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সরাসরি রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওসমান গণি মণ্ডল ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সাবরেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি কাপাসিয়া ও টঙ্গী সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো দলিল নিবন্ধন করেন না এমন অভিযোগও দীর্ঘদিনের। মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। এ বিষয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয়রা বলছেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে এমন প্রতারণার ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তারা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও নিবন্ধন অধিদফতরের কাছে ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি জন্মতারিখ ও ইতিহাস বিকৃত করে চাকরি বাড়াতে পারেন, তবে সেটি রাষ্ট্রীয় প্রতারণার চরম দৃষ্টান্ত।
এ জাতীয় আরো খবর..