মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোঃ মোবারক হোসেন
সংক্রমণসংক্রমণের মূল সময় শেষ হতে চললেও মানিকগঞ্জে কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোয় প্রতিদিনই গড়ে ২০-৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। আর নিয়মিত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকছে ৮০-১০০ জন। আক্রান্তদের
সংক্রমণের মূল সময় শেষ হতে চললেও মানিকগঞ্জে কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোয় প্রতিদিনই গড়ে ২০-৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। আর নিয়মিত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকছে ৮০-১০০ জন। আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডও চালু করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৭ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়ে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তবে এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর সময় আরো এগিয়ে এসেছে। এখন জুনেই ডেঙ্গুর সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে সংক্রমণ। দেরিতে বর্ষা শেষ হওয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো কিছুদিন খারাপ থাকতে পারে
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোকছেদুল মোমিন দৈনিক সোনালী কষ্ঠ বলেন, ‘দেরিতে বর্ষা শেষ হওয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো কিছুদিন খারাপ থাকতে পারে। সংক্রমণ কমাতে সব শ্রেণীর মানুষকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশা নিধনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, চলতি বছর মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় জুনে। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১২ জন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। জুলাইয়ে ১৬, আগস্টে ৩৬ ও সেপ্টেম্বরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০৯-এ। এরপর অক্টোবরে ৭০১ ও নভেম্বরে রোগী ভর্তি হয় ৯১২ জন। চলতি বছরে মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুজন। ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় তিন হাজার।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগী ও স্বজনরা বলেন, জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। পরীক্ষা করলেই ডেঙ্গু ধরা পড়ছে।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু চিকিৎসক ডা. মানবেন্দ্র সরকার দৈনিক সোনালী কষ্ঠ বলেন, ‘এ বছর ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী। প্রতিদিনই গড়ে ২০-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। এছাড়া কেউ কেউ বাড়িতেও চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভর্তি রোগী তিন-চারদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারছে।’
২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এবিএম তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের পাশাপাশি মশারি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।’
এ জাতীয় আরো খবর..